দোহা : গত বিশ্বকাপের সর্বাধিক গোল স্কোরার। এ বার গোলের খাতা খুলতে পারছিলেন না। গ্রুপ পর্বে তিনটি গোলে ভূমিকা রয়েছে। এ দিনও ইংল্যান্ডের প্রথম গোলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন অধিনায়ক। অবশেষে গোলও করলেন। জর্ডন হেন্ডারসন এবং প্রথমার্ধের অ্যাডেড টাইমে হ্যারি কেনের গোল। সেনেগালের (Senegal) বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। শুরু থেকে নানা আক্রমণাত্মক মুহূর্ত তৈরি হলেও গোলমুখী শট বেশি ছিল সেনেগালের! কিন্ত পার্থক্য গড়ে দিলেন হ্যারি কেন (Harry Kane)। এ বারের বিশ্বকাপে ১২টি গোল করেছে ইংল্যান্ড। ৮ জন ভিন্ন স্কোরার। নতুন স্বপ্ন দেখছে ইংল্যান্ড (England)। বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
গত বিশ্বকাপেও গ্যারেথ সাউথগেটের কোচিংয়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছিল ইংল্যান্ড। যদিও ট্রফি আসেনি। সেমিফাইনালে হার ইংল্যান্ডের। ২০২০ ইউরো কাপের ফাইনালেও পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড। সেখানেও রানার্স। তারুণ্যে ভরপুর ইংল্যান্ড দলকে এ বার সবচেয়ে শক্তিশালী মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরাও তাই বলছেন। গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। সেনেগালের মরিয়া লড়াইয়ের সামনে ইংল্যান্ড কতটা সুবিধা করে উঠতে পারে সেদিকেই নজর ছিল। ইংল্যান্ডকে এই ম্যাচে এগিয়ে দেয় অভিজ্ঞতাই। দলের তরুণ ফুটবলারের আধিক্য থাকলেও অভাব নেই অভিজ্ঞদের। ম্যাচের প্রথম গোল এল তেমনই একজনের সৌজন্যে। মিডফিল্ডার জর্ডন হেন্ডারসন সাধারণত ডিফেন্সিভ ভূমিকা পালন করেন। ৩৮ মিনিটে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দিলেন তিনিই। হ্যারি কেনের পাস বাঁ দিকে জুড বেলিংহ্যামকে। মাঝ মাঠ দিয়ে প্রতিপক্ষ গোলের দিকে এগনো হেন্ডারসনকে পাস এবং দুর্দান্ত ফিনিশ হেন্ডারসনের।
ইংল্যান্ড ৩ (হেন্ডারসন ৩৮’, কেন ৪৫+৩’, সাকা ৫৭’)
সেনেগাল ০
এক গোলের লিড কখনোই সুরক্ষিত নয়। ব্যবধান বাড়াতে খুব বেশি সময় নেয়নি ইংল্যান্ড। এ বার অধিনায়কের গোল। প্রথমার্থের অ্যাডেড টাইমে ফিল ফডেনের অনবদ্য পাস, দারুণ জায়গায় ছিলেন কেন। সুযোগ নষ্ট করেননি। ইংল্যান্ডের সর্বাধিক স্কোরার হওয়া থেকে ২ গোল দূরে হ্যারি কেন। প্রথম একাদশে মার্কাস ব়্যাশফোর্ডকে না রাখা অবাক করেছিল। কেনের সঙ্গে দু-দিকে ফিল ফডেন এবং বুকায়ো সাকাকে আক্রমণে খেলানো হয়। কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের পরিকল্পনা কাজে এসেছে। কেন, ফডেন, সাকা ত্রয়ী বারবার সমস্যায় ফেলেছেন সেনেগাল রক্ষণকে। বিরতির পর ইংল্যান্ডের ব্য়বধান বাড়ান বুকায়ো সাকা। ম্যাচের তৃতীয় এবং এ বারের বিশ্বকাপে নিজের তিন নম্বর গোল সাকার। ফিল ফডেনের পাস ধরে সেনেগাল গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে জালে বল জড়ান বুকায়ো সাকা।
বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ইংল্যান্ড কখনও ৩ গোলের বেশি ব্য়বধানে জেতেনি। এ দিন সেই পরিসংখ্যান বদলে দেওয়ার প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছিল। সেনেগালও একেবারেই সুযোগ পায়নি তা নয়। প্রথমার্ধে অনবদ্য একটি সেভ করেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ড। বিরতিতে ২ গোলে পিছিয়ে পড়ায় তাদের আক্রমণে ওঠা দায় হয়ে পড়ে। সাদিও মানেকে ছাড়া গ্রুপ পর্বের বাধা পেরোতে পারলেও, ইংল্যান্ডের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে ব্যর্থ সেনেগাল। একটা সেভ ছাড়া কোনও চ্য়ালেঞ্জের সামনে পড়তে হয়নি ইংল্যান্ড গোলরক্ষককে। শেষ আটে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সামনে ইংল্য়ান্ড।