EURO 2024, SPN vs ENG: দামাল ইয়ামালদের কামালে নত ইংরেজ ঔদ্ধত্য! সেরা দল স্পেনই চ্যাম্পিয়ন

Jul 15, 2024 | 2:38 AM

Spain vs England, EURO 2024 Final: চতুর্থবার। উইম্বলডনে টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন স্প্যানিশ তরুণ কার্লোস আলকারাজ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বার্লিনে লামিনে ইয়ামালের মতো কিছু দামাল তরুণের কামাল দেখল ফুটবল বিশ্ব। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে চতুর্থ বার ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন। বিশ্বের দুই প্রান্তে স্পেনের দাপট।

EURO 2024, SPN vs ENG: দামাল ইয়ামালদের কামালে নত ইংরেজ ঔদ্ধত্য! সেরা দল স্পেনই চ্যাম্পিয়ন
Image Credit source: AFP

Follow Us

চতুর্থবার। উইম্বলডনে টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে চতুর্থ গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন স্প্যানিশ তরুণ কার্লোস আলকারাজ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বার্লিনে লামিনে ইয়ামালের মতো কিছু দামাল তরুণের কামাল দেখল ফুটবল বিশ্ব। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে চতুর্থ বার ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেন। বিশ্বের দুই প্রান্তে স্পেনের দাপট। স্ট্যান্ডে জাভি, ইনিয়েস্তার মতো স্পেনের কিংবদন্তি ফুটবলাররা। বিশ্বজয়ী ইনিয়েস্তাদের সামনে যোগ্য দল হিসেবেই চ্যাম্পিয়ন স্পেনের তরুণ দল। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারাল স্পেন। ব্যবধানটা ৫ গোলের হলেও অবাক হওয়ার ছিল না। ইংল্যান্ডের গোলে একজন পিকফোর্ড রয়েছেন বলেই স্পেনের ব্যবধান বাড়ল না।

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই সেরা ফুটবল উপহার দিয়েছে স্পেন। ফাইনালেও তারই পুনরাবৃত্তি। সুযোগের অপেক্ষা, আর সুযোগ তৈরি করা। দুটো এক বিষয় নয়। স্পেন সুযোগ তৈরির চেষ্টা করল, ইংল্যান্ড অপেক্ষা। প্রথমার্ধেই ৩০০ পাস স্পেনের। বল পজেশন ৭০ শতাংশ। যদিও দু-দলই গোলমুখী শট নিয়েছে একটি করে। স্পেনের আক্রমণ ছিল বেশি। বার্লিনে রক্ষণের দেওয়াল তুলেছিল ইংল্যান্ড। স্পেনের পাসের বন্যা থামিয়ে মন্থর খেলার চেষ্টা। যদি কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের দেখা মেলে! কিন্তু রক্ষণ সামলাতেই এত ব্যস্ততা, আক্রমণের সুযোগের অপেক্ষাই করে যেতে হল।

প্রথমার্ধে যে চাপ তৈরি করেছিল স্পেন, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তার পুরস্কার মেলে। ডান দিকে কার্ভাহালের থেকে গোলের মুভ শুরু হয়। লামিনে ইয়ামালের কাছে বল আসতেই জায়গা বানান। সঠিক লোক খোঁজেন। আনমার্কড নিকো উইলিয়ামসকে পাস বাড়ান। আর সেই বলে কোনও ভুল করেননি বিলবাওয়ের নিকো উইলিয়ামস। অবশেষে ইংল্যান্ডের ধৈর্যের ওয়াল ভেঙে গোল।

সব মিলিয়ে পাঁচ পাসে গোলের ম্যাচের ৪৭ মিনিটে এগিয়ে যায় স্পেন। বক্সের বাঁ দিক থেকে নিকো উইলিয়ামসের জমিঘেসা শট। ইংল্যান্ডের তারকা গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ডের বাঁ পায়ের তলা দিয়ে গোলে। স্ট্রেচ করেও কোনও লাভ হয়নি। কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই নিকো উইলিয়ামসের ফরোয়ার্ড পাস। ড্যানি ওলমো বল ধরে টার্ন নিয়েই শট। যদিও জোর ছিল না। ইংল্যান্ড ডিফেন্সে আটকে যায়। ২ মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় গোল হতে পারত স্পেনের।

এখানেই ইতি নয়। ৫৫ মিনিটে ফের বিপদের মুখে ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ বক্সের দিকে বল নিয়ে আনমার্ক আলভারো মোরাতা। বাঁ দিকে সঙ্গী খুঁজছিলেন। জর্ডন পিকফোর্ড কোনওরকমে বল কাড়তে সক্ষম হন। তাতেও বিপদ কাটেনি। লামিনে ইয়ামাল বল পেয়েই ফের পাস বাড়ানোর চেষ্টা করেন। নিকো উইলিয়ামস অবধি বল পৌঁছলেও গোলের সংখ্যা বাড়েনি।

ম্যাচের এক ঘণ্টা পেরোতেই অভিজ্ঞ ফুটবলার তথা হ্যারি কেনকে তুলে ওলি ওয়াটকিন্সকে নামান গ্যারেথ সাউথগেট। ৬২ মিনিটে ফ্রি-কিক। ফিল ফডেন দুর্দান্ত জায়গায় রাখলেও নিচে নেমে আসা আলভারো মোরাতা ক্লিয়ার করে দেন। সেই মুভ থেকেই তৈরি হয় ইংল্যান্ডের সুযোগ। বক্সের বাইরে বল পান ইংল্যান্ডের ভরসা জুড বেলিংহ্যাম। টার্ন নিয়ে জায়গাও তৈরি করেন। কিন্তু শট গোলে রাখতে ব্যর্থ।

ম্যাচের ৬৬ মিনিটে দুর্দান্ত সেভ পিকফোর্ডের। ড্যানি ওলমোরা আক্রমণে উঠছিলেন। বক্সের সামনে বল পান লামিনে ইয়ামাল। জায়গা তৈরি করে দারুণ শট। শেষ মুহূর্তে কোনওরকমে ইংল্যান্ডকে বড় বিপদ থেকে বাঁচান পিকফোর্ড। কিছুক্ষণের মধ্যেই মোরাতাকে তুলে মিকেল ওরয়াফালকে নামান স্পেন কোচ লুই দে লা ফুয়েন্তে। এমনিতে নিকো-ইয়ামাল চাপে রাখছিলেন, ওরয়াফাল নামতেই আরও চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। জর্ডন পিকফোর্ড না থাকলে…!

ইংল্যান্ডও ‘সতেজ পা’ পামারকে নামিয়ে মরিয়া চেষ্টা করে। এই পরিকল্পনা কাজে দেয়। বুকায়ো সাকা, বেলিংহ্যাম, ফডেনের সঙ্গে পামার। সাকা ডানদিক থেকে পাস করেন বেলিংহ্যামকে। চাইলে শট নিতে পারতেন। তবে ডিফেন্সের ভিড়ে আটকে যেতে পারত। তাই ব্যাক পাস করেন কার্ল পামারকে। দূর থেকেই পামারের জমিঘেসা চকিত শট। বক্সের কোনা দিয়ে জালে। উনাই সিমন শরীর পুরোপুরি স্ট্রেচ করলেও বলের নাগাল পাননি। সুপার সাব পামারের গোলে ৭৩ মিনিটে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।

ম্যাচের সময় এগতেই জমে ওঠে খেলা। ফ্যাবিয়ান রুইজদের দুর্দান্ত মুভ। বক্সের মধ্যে ইয়ামাল দুর্দান্ত জায়গায় বল পান। সেকেন্ড পোস্ট দিয়ে জালে বল ঢোকানোর পরিকল্পনা ছিল ইয়ামালের। তাঁর বাঁ পায়ের শট সরাসরি পিকফোর্ডের শরীরে ধাক্কা খায়। স্পেনের খেলার স্টাইল কিছুতেই যেন বুঝে উঠতে পারছিল না ইংল্যান্ড ডিফেন্স। যতই গোলে পিকফোর্ড থাকুন, অঘটন যেন সময়ের অপেক্ষা। সেটাই হল ৮৬ মিনিটে। কুকুরেয়ার পাসে বক্সের সামনে স্লাইড করে বল জালে ঢোকান সুপার সাব ওরয়াফাল।

স্পেনের জন্য প্রয়োজন ছিল কয়েকটা মিনিট বল ধরে রাখা। নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে ফডেনকে তুলে টোনিকে নামায় ইংল্যান্ড। স্পেনও ইয়ামালকে তুলে মেরিনোকে নামায়। কর্নার থেকে ফের সমতা ফেরানোর মুহূর্ত। উনাই সিমন বল পাঞ্চ করেন, ফিরতি বলে ফের সুযোগ ইংল্যান্ডের। ড্যানি ওলমো গোল লাইনে দুর্দান্ত ব্লক করেন। সেখানেই যেন স্পেনের ট্রফি নিশ্চিত হয়ে যায়। ৪ মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। স্প্যানিশ শিবিরে স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন পেড্রি। সকলেই বারবার ঘড়ি দেখছেন। তবে পামার একই ম্যাচে আরও একবার ইংল্যান্ডকে রক্ষা করবেন, সেই প্রত্যাশা ব্যর্থ।

Next Article
Bhawanipore FC: লা লিগা যুব টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর, রোহিতের মতো সেলিব্রেশন!
Copa America Final: টিকিট ছাড়া দর্শকদের স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা, কোপা আমেরিকার ফাইনালে চরম বিশৃঙ্খলা