দেশের জন্য মন খারাপ সোনির

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Aug 15, 2021 | 2:16 PM

গতকাল রাতেই ভূমিকম্পের খবর পেয়েছেন সোনি। স্বভাবতই ভাই, বোন আর দিদার কথা সবার আগে মাথায় আসে তাঁর। অনেক চেষ্টা করেও শুরুতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ফলে চিন্তা বাড়ে সোনির।

দেশের জন্য মন খারাপ সোনির
দেশের জন্য মন খারাপ সোনির (সৌজন্যে-টুইটার)

Follow Us

সুশোভন মুখোপাধ্যায়

তীব্র ভূমিকম্প হাইতিতে (Haiti)। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ৭.২। ইতিমধ্যেই সুনামির সতর্কতা জারি করেছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের নিকটস্থ এই দেশে। ভয়াবহ এই ভূকম্পনে মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে বাড়ি ঘর। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল হাইতির রাজধানী পোর্ত-অউ-প্রিন্স থেকে ১০০ মাইল দূরে। এই কম্পনের প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী দেশগুলিতেও।

হাইতির ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনার কথা শুনেই আঁতকে উঠেছেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) প্রাক্তন ফুটবলার সোনি নর্ডি (Sony Norde)। এই মুহূর্তে তিনি মালয়েশিয়ায়। তবে এই ঘটনায় রাতের ঘুম উড়েছে হাইতিয়ান সুপারস্টারের। টিভি নাইন বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে সোনি বলেন, ‘আমার মা এই মুহূর্তে আমার সঙ্গে মালয়েশিয়াতেই আছে। স্ত্রী আর দুই সন্তানও এখানে। তবে আমার ভাই, বোন আর দিদা হাইতিতে আছে। তারা সুরক্ষিতই আছে। বাড়ি ঘরেরও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ওরা হাইতির রাজধানী পোর্ত-অউ-প্রিন্সে থাকে।’ গতকাল রাতেই ভূমিকম্পের খবর পেয়েছেন সোনি। স্বভাবতই ভাই, বোন আর দিদার কথা সবার আগে মাথায় আসে তাঁর। অনেক চেষ্টা করেও শুরুতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। ফলে চিন্তা বাড়ে সোনির। পরে কথা বলে আশ্বস্ত হন হাইতিয়ান তারকা ফুটবলার। রাজধানী থেকে আরও ১০০ মাইল দূরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল হওয়ায় সুরক্ষিতই আছে সোনির ভাই, বোন আর দিদা। তবে দেশের জন্য মন কাঁদছে সোনির।

জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে আচমকাই প্রাণঘাতী কম্পন অনুভূত হয় হাইতিতে। বাড়ি ঘর রীতিমতো কাঁপতে শুরু করে। সে দেশের রাস্তাতেও ফাটল দেখা যায়। ফলে বাড়ি ছেড়ে পথে নেমে এলেও বিপদমুক্ত কি না বুঝতে পারছিলেন না সে দেশের মানুষ। চোখের সামনে মুহূর্তে বাড়িঘর, দোকানপাট, বড় বড় অট্টালিকা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে দেখা যায়। যেহেতু ভূগর্ভের মাত্র ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল, কম্পনের তীব্রতাও তাই এতটা বেশি ছিল।

মৃতের সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করে কিছু না জানা গেলেও, বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করছে সে দেশের প্রশাসন। ধূলিসাৎ বাড়িঘরের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে। হাইতির ডিরেক্টর অব সিভিল প্রোটেকশন জেরি ক্যান্ডলার এএফপিকে জানিয়েছেন, “আমি নিশ্চিত বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। তবে এখনই সেই সংখ্যাটা কত তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।” হাইতির এমার্জেন্সি সমস্তরকম পরিষেবা ইতিমধ্যেই মানুষকে দেওয়া হচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি নিজে সমস্ত বিষয়ে তত্ত্বাবধান করছেন বলে সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

২০১০ সালে এরকমই এক ভয়ঙ্কর ভূকম্পনে দুলে উঠেছিল হাইতি। পোর্ত-অউ-প্রিন্স ও সংলগ্ন শহরগুলি একেবারে তছনছ করে দিয়েছিল সেবারও। ২০০,০০০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন ৩০০,০০০ জনের বেশি।

Next Article