EAST BENGAL: ক্লাবের পাশে প্রাক্তনীরা, তবুও জট অব্যাহত

TV9 Bangla Digital | Edited By: raktim ghosh

Jul 26, 2021 | 10:40 PM

বৈঠক শেষে সুভাষ ভৌমিক বলেন, 'এই চুক্তিপত্রে সই করা মানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা।'

EAST BENGAL: ক্লাবের পাশে প্রাক্তনীরা, তবুও জট অব্যাহত
ক্লাবে বৈঠকে প্রাক্তনীরা

Follow Us

কলকাতা: চুক্তি জটে সমর্থন পেতে সোমবার প্রাক্তন ফুটবলার ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব কর্তারা। ঘণ্টা দুয়েকের বৈঠকে সুভাষ ভৌমিক, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, মেহতাব হোসেন, দেবজিৎ ঘোষের মতো ফুটবলাররা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না লাল-হলুদের ঘরের ছেলে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। ব্যক্তিগত কারণে আসেননি সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন ক্রিকেটার শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়, রণদেব বসুরাও ছিলেন এ দিনের বৈঠকে। ইস্টবেঙ্গলের মোট ৬১ জন প্রাক্তনীরা ছিলেন এ দিনের বৈঠকে।
টার্মশিট আর মূল চুক্তিপত্রের মধ্যে বিস্তর ফারাক, এই মর্মেই প্রাক্তনীদের সই সংগ্রহ করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি থেকে ফিরলে তাঁর কাছে এই আবেদন জানাবেন লাল-হলুদের প্রাক্তনীরা। বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছেও চুক্তিপত্রে বদল আনার আবেদন জানাবেন প্রাক্তনীরা। বৈঠক শেষে সুভাষ ভৌমিক বলেন, ‘এই চুক্তিপত্রে সই করা মানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা।’
ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘প্রাক্তনীরা নিজেদের মত পোষণ করেছেন। তারাও আমাদের সঙ্গে সহমত। চুক্তিপত্রে সই করলে ক্লাবের সমস্ত সম্পত্তি চিরতরে বিক্রি হয়ে যাবে। আমরা সই করতেই পারি। কিন্তু তাতে ক্লাবের ক্ষতি হয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। ফুটবল লাইসেন্স ইনভেস্টরের হাতে। ওদের তো দল গড়তে কেউ বারণ করেনি।’

প্রাক্তনীদের সই করা সেই চিঠি

প্রাক্তনীদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘টার্মশিটে সই করার কর্মকর্তাদের সচেতন হওয়া উচিত ছিল। এই প্রসঙ্গে দেবব্রত সরকার বলেন, ‘একবার ভুল করেছি। বারবার ভুল করতে চাই না। টার্মশিট সইয়ের সময় চুক্তি মধ্যস্থতাকারীরাও তো ছিলেন।’
চুক্তি জট অব্যাহত। চুক্তিপত্রে বদল না আনলে সই করতে নারাজ ক্লাব কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের এ দিনের বৈঠকে আসেন বিধায়ক মদন মিত্র। চুক্তি জটে তিনিও ক্লাবের পাশেই থাকেন।

Next Article