জেনেভা: সারা বিশ্বে শিশু নিগ্রহের খবর দিনকে দিন বাড়ছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের। ঠিক এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফা এগিয়ে এল নিগ্রহ সংক্রান্ত ব্যাপারে সচেতনতার পাঠ দিতে। পাঁচটি ভাগে একটি কোর্স করানো হবে ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা লোকজনদের। যাতে হেনস্তা বা নিগ্রহের ঘটনা ফুটবল থেকে মুছে যায়।
আরও পড়ুন:করোনাবিধি ভেঙে বিতর্কে রোনাল্ডো
ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যেই ফুটবল খেলুক বা ফুটবলের সঙ্গে জড়িয়ে থাকুক, সে যেন ফুটবলটা উপভোগ করতে পারে। নিরাপদ ও সুরক্ষিত একটা পরিবেশ উপহার দিতে চাই। বিশেষ করে শিশুরা যখন জড়িয়ে, তাদের কথা বেশি করে ভাবতে হবে। ফিফার প্রোগ্রামের এটাই একমাত্র লক্ষ্য।’
হাইতিতে কিছু দিন আগে ঘটে যৌন নিগ্রহের পর ফিফা নড়ে বসে। হাইতি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট একটি ১৪ বছরের মেয়েকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। হাইতির প্রেসিডেন্টকে ওই ঘটনার পর আজীবন নির্বাসিত করেছে ফিফা। ওই ঘটনায় মুখ পুড়েছিল ফিফার। সেখান থেকে শিক্ষা নিতেই সচেতনতার এই পাঠ ফিফার। যাতে আর কখনও এই রকম ঘটনা না ঘটে। ইনফান্তিনোর কথায়, ‘ফুটবল একটা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে। এটাই সেরা সময়, মানুষকে শিক্ষিত করতে হবে। যাতে কোনও রকম খারাপ ঘটনা না ঘটে।’
?️FIFA President: “Having effective preventative measures in place can help ensure that football is played in a safe and supportive environment… it is up to all of us to play our part. We are all FIFA Guardians.”
??➡️https://t.co/xARKPpVL8b pic.twitter.com/qtRHwtJ02E
— FIFA Media (@fifamedia) January 28, 2021
আরও পড়ুন:ফাউলারের কাছে আইএসএল এখন নকআউট
যৌন হেনস্তা বা নিগ্রহের নানা রূপ রয়েছে। সবগুলো দিক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাখতে চাইছে ফিফা। সমস্ত সদস্য দেশগুলোকে এই ব্যাপারে সচেতন করার জন্য ১০ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। চিফ সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি ও এডুকেশন অফিসার জয়েস কুক বলেছেন, ‘যে সব দেশ যুব অ্যাকাডেমি গড়ার কথা ভাবছে, তাদের সবরকম ভাবে গুছিয়ে নামতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে এই রকম শিক্ষাগুলোও বাধ্যতামূলক।’
দু’বছরের পাঠক্রমের জন্য সমস্ত সদস্যগুলোকে তাদের একজন করে প্রতিনিধি রাখতে হবে, যিনি এই কোর্স করবেন। তার পর তাঁর কাছ থেকে পাঠ নেবেন অন্যান্যরা। কুকের কথায়, ‘শিশুদের যৌন নিগ্রহের পাশাপাশি মেয়েদের হেনস্তা বন্ধ করাটাই ফিফার লক্ষ্য। যাতে কোনও রকম খারাপ ঘটনার মুখোমুখি কাউকে হতে না হয়।’