দুই শিবিরেই কান্না। তবে পার্থক্য রয়েছে। মেয়েদের বিশ্বকাপে প্রথম বার ফাইনালে জায়গা করে নিল স্পেন। সেমি ফাইনালে সমতা ফিরিয়েও শেষ হাসি হাসতে পারল না সুইডেন। এ বারের বিশ্বকাপে অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল সুইডেনের মজবুত রক্ষণ। তাদের বিরুদ্ধে গোল করা খুবই কঠিন কাজ। এমনকি গত বারের চ্যাম্পিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও তাদের বিরুদ্ধে গোল করতে পারেনি। টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল আমেরিকা। স্পেনের পক্ষেও চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়ায় সুইডেনের রক্ষণ ভাঙা। অবশেষে ৮১ মিনিটে গোলের মুখ খোলে। এরপরই নাটকের মুহূর্ত। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সেমি ফাইনালের আগে পাঁচ ম্যাচে মাত্র দু-গোল খেয়েছিল সুইডেন। তাদের মজবুত রক্ষণ ভাঙল ম্যাচের ৮১ মিনিটে। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সুপার সাব হিসেবে নেমে ১১১ মিনিটে জয় সূচক গোল করেছিলেন সালমা পারাউয়েলো। এ বারও সুপার সাবের গোলে এগিয়ে যায়। ১৮ নম্বর জার্সির এই স্ট্রাইকার ফার্স্ট টাচেই অনবদ্য ফিনিশ করেন। যদিও ভিএআর চেক হয়। সেই মুহূর্তে প্রবল চাপ গ্যালারিতেও। রেফারি গোলের সিগন্যাল দিতেই স্পেন শিবিরে স্বস্তি। সেই স্বস্তিও সাময়িক হয়ে দাঁড়াল।
রেগুলেশন টাইমের মাত্র আড়াই মিনিট আগে গোল শোধ সুইডেনের। ভলিতে অনবদ্য গোল করেন আনমার্কড রেবেকা ব্লমিস্ট। স্পেন শিবিরে ফের হতাশা। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল না হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়াত। ম্যাচ যেতে পারত টাইব্রেকারেও। স্কোর লাইন সমান হতেই ফের জ্বলে ওঠে স্পেন। সুইডেনের গোলের এক মিনিটের মধ্যেই ফের লিড নেয় স্পেন। কর্নার পেয়েছিল তারা। যদিও ডিরেক্ট সেন্টার না করে ডান দিকে ছোট্ট পাস খেলে। বল ধরেই পাওয়ারফুল শটে গোল ওলগা কারমোনার। এত সুন্দর প্লেসমেন্টে গোলরক্ষকের কিছু করার ছিল না। রেগুলেশন টাইমেই স্পেন এগিয়ে যায় ২-১ গোলে।
সাত মিনিট অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয়। ফলে কিছুটা আশঙ্কা ছিলই। স্পেন শিবিরে নজর ছিল এই সাতটা মিনিট কাটিয়ে দিতে পারে কিনা তারা। সুইডেন চেষ্টা করে সমতা ফেরানোর। যদিও স্কোরলাইনে কোনও বদল হয়নি। ২-১ ব্যবধানে জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পেন।