মলপ্পুরম: কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি রয়েছে আর দু সপ্তাহ। তার পরই ফুটবলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে ৩২ দেশ। যদিও এই প্রতিযোগিতায় নেই ভারত। কিন্তু এই প্রতিযোগিতা ঘিরে উন্মাদনা ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। এ রাজ্যের মতো কেরলও আক্রান্ত হয় ফুটবল জ্বরে। প্রিয় দলের তারকা ফুটবলারদের সমর্থনে পোস্টার, কাট আউট লাগানো ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। এমনকি ভিন্ন দলকে সমর্থন করা নিয়ে নিজেদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়ান স্থানীয়রা। ঠিক যেমনটা হয়েছে কেরলে।
কেরলের মলপ্পুরমের ছাতারিমঙ্গলম এলাকায় দিয়ে বয়ে গিয়েছে কুরুনগাট্টু কাদাভু নদী। সেই নদীর আশপাশে রয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। সেখানকার কোনও গ্রামের বাসিন্দারা ব্রাজিলের বাসিন্দা। কোনও গ্রামের বাসিন্দারা আর্জেন্টিনার সমর্থক। লাতিন আমেরিকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের লড়াইয়ের উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছে কেরলের ওই এলাকায়। কাদাভু নদীর পারে পুল্লাভুর গ্রামের বাসিন্দারা যেমন আর্জেন্টিনার সমর্থক। তাঁদের গ্রামে গেলেই দেখা যাচ্ছে মেসির কাটআউট। নদীর ধারে ৩০ ফুট উচ্চতার মেসির কাট আউট লাগিয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। নদীর উল্টো পাড়ের বাসিন্দারা আবার ব্রাজিলের সমর্থক। পুল্লাভুরকে টেক্কা তাঁরা লাগিয়েছেন ৪০ ফুট উচ্চতার নেইমারের কাট আউট।
সেখানকার আর্জেন্টিনা ফ্যান অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নৌশির নেল্লিকদু চাইছেন, ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা ফাইনালের পুনরাবৃত্তি। আসন্ন বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলকে আমরা এক গোলে হারিয়েছিলাম। কাতারেও সেই একই দৃশ্য দেখতে চাইছি” আর্জেন্টিনা সমর্থকদের উদযাপন দেখে ময়দান ছাড়তে রাজি নন সেখানকার ব্রাজিল সমর্থকরা। মেসির কাট আউটের মুখোমুখি নেইমারের কাট আউট বসিয়েছেন তাঁরা। ব্রাজিল ফ্যান ক্লাবের সদস্য কে পি আকবর বলেছেন, “আমরা স্বপ্ন দেখছি কাতারে বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ হবে। এবং আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতবে।”
মেসি, নেইমারের কাট আউটেই থেমে থাকেননি তাঁরা। সেখানকার বাড়ির দেওয়ালেও আঁকা হয়েছে বিভিন্ন দেশের পতাকা। এর পাশাপাশি কেরলের কোঝিকোড়ে কাতার বিশ্বকাপের সময় ‘মিনি বিশ্বকাপ’-এর আয়োজন করা হবে। স্থানীয় আটটি দল খেলবে সেই লিগে। সেই দলগুলি ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ক্যামেরুন, কাতার ও নেদারল্যান্ডে জার্সি পড়ে খেলতে নামবেন।