কলকাতা : দু’বছরের জন্য নির্বাসিত এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার আশুতোষ মেহতা। ডোপ টেস্টে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় মাদক বিরোধী সংস্থা (নাডা) দু বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে এই মিডফিল্ডারকে। ভারতীয় ফুটবলে অতি পরিচিত নাম আশুতোষ মেহতা। আই লিগ, আইএসএলে দীর্ঘ সময় খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন তিনি। গত ১৪ সেপ্টেম্বরের একটি নির্দেশিকায় অ্যান্টি ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের তরফে এই নির্বাসনের কথা জানানো হয়েছে। তাঁর মূত্রের নমুনায়, মরফিন পাওয়া গিয়েছে।
গত বছর আইএসএল হয়েছিল গোয়াতে। কোভিডের কারণে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে ম্যাচ হয়। শুধুমাত্র ফাইনালে দর্শক উপস্থিতির অনুমতি ছিল। ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির তরফে ১৬ পাতার নির্দেশিকায় আশুতোষ মেহতার বিষয়টি বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সে খানে বলা হয়েছে, গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি আইএসএলে ম্যাচের আগে আশুতোষ মেহতার মূত্রের নমুনা নেওয়া হয়। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) নিয়ম মেনেই তাঁর মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে মরফিন (মাদক) মিলেছে। ওয়াডার নিষিদ্ধ দ্রব্যের তালিকায় রয়েছে মরফিন। মাদক নেওয়ার কারণেই তাঁকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে, নাডার নির্দেশিকায়।
নাডাকে আশুতোষ মেহতা যে তথ্য দিয়েছেন সেই বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে এই নির্দেশিকায়। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট অ্যাথলিট (আশুতোষ মেহতা) ইচ্ছাকৃত মরফিন নেননি। এক সতীর্থ ফুটবলার তাঁকে আয়ুর্বেদিক ওষুধের কথা বলে, ওপিয়াম নামের একটি ওষুধ খেতে দিয়েছিলেন। সেটা থেকেই মরফিনের হদিশ মিলেছে। পরবর্তীতে আশুতোষ সেটি জানতে পারেন বলে, নাডার কাছে বলেছেন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য, তাঁর কাছে বেশ কিছু কল রেকর্ড, সাক্ষী রয়েছে বলেও জানিয়েছেন আশুতোষ।