কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়
পাঁচ দিন হল খসড়া চুক্তি পাঠিয়েছে ইনভেস্টর ইমামি। এখনও সরকারি ভাবে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা লল না। ট্রান্সফার উইন্ডো খুলে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। আইএসএলের সমস্ত দলই ঘর গুছিয়ে ফেলেছে। পড়শি ক্লাব এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) সই করেছেন পল পোগবার (Paul Pogba) দাদা। দেশিয় ফুটবলারদের স্কোয়াডও গুছিয়ে ফেলেছে সবুজ-মেরুন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল সেই অন্ধকারেই! লাল-হলুদের ভবিষ্যৎ কী? উত্তর এখনও অজানা। দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলে কোনও প্রক্রিয়াই যে এগোবে না, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কর্তারা কেন ঢিমেতালে এগোচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ময়দানে। আশা করা হয়েছিল, এই সপ্তাহেই হয়তো ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির গাঁটছড়া চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু এই সপ্তাহেও আলোর দিশা দেখতে পারলেন না লাল-হলুদ সমর্থকরা। তা হলে কবে হবে দলগঠন? ইমামির (Emami) ডিরেক্টর আদিত্য আগারওয়াল ইস্টবেঙ্গলের এই ঢিলেমিতে বেশ বিরক্ত।
টিভি নাইন বাংলাকে এক্সক্লুসিভ টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আদিত্য বললেন, ‘পুরো প্রক্রিয়াটা যে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে, সবাই দেখতে পাচ্ছে। আমাদের হাতে এখন আর কিছু নেই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সবুজ সংকেত দিলেই তবেই এগনো সম্ভব। তারই অপেক্ষায় আছি আমরা।’ চুক্তি নিয়ে কি কোনও কথা হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে? এত দেরিই বা কেন হচ্ছে? আদিত্য বলছেন, ‘মনে হয়, ওরা অনেক বেশি পড়াশোনা করছে। পড়াশোনা শেষ হয়নি বোধহয়। হলে তবেই এগোবে।’
গত মঙ্গলবারই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে বিনিয়োগকারীদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়, দলগঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। তার উত্তরও পাঠিয়ে দিয়েছে লগ্নিকারী সংস্থা। ইমামির কর্তা বলছেন, ‘কাগজপত্রে সই ছাড়া কোনও প্রক্রিয়াই শুরু করা সম্ভব নয়। আমরাও দল ঠিকঠাক বানাতে চাই। ফুটবলের কাজ যদি আমাদের দেখতে হয়, তা হলে আর এক পক্ষকেও নিজেদের দায়িত্বটা পালন করতে হবে।’ দলগঠনে দেরি হলে তার প্রভাব পারফরম্যান্সেও পড়বে। ঠিক যে ছবি গত দু’বছরে দেখা গিয়েছে। আদিত্যও তার আন্দাজ এখন থেকেই ভালোই টের পাচ্ছেন। তিনি বলছেন, ‘জানি, ভালো টিম না হলে সমর্থকদের সমস্ত রোষ তখন আমাদের উপর এসে পড়বে। মেনে নেওয়া ছাড়া তখন কিছুই করার থাকবে না।’
আইএসএলে কোনও দলের নামের আগেই স্পনসর বা ইনভেস্টরের নাম সরাসরি বসে না। ইস্টবেঙ্গলের নামের আগে কি কোনও নাম বসতে পারে? সেই সম্ভাবনাও কিন্তু উড়িয়ে দিলেন না আদিত্য। তিনি বললেন, ‘হয়তো বসতে পারে। এখনও সেটা ঠিক করিনি। বোর্ড গঠন হওয়ার পরই তা চূড়ান্ত হবে।’ ইতিমধ্যেই একজন সিইও নিয়োগ করে ফেলেছে লগ্নিকারী সংস্থা। মাঠে নামার জন্য পুরোদমে তৈরি। শুধু ক্লাবের সবুজ সংকেত আসার অপেক্ষা।’