এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্বেই যাত্রা শেষ ভারতের। প্রথম ম্যাচে সকারুসের কাছে ০-২ ব্যবধানে হার। তুলনামূলক ‘দুর্বল’ উজবেকিস্তানের কাছে আরও বড় ব্যবধানে হার ভারতের। প্রথম দু-ম্যাচে হার এবং পাঁচ গোল খেয়ে ব্যাকফুটে ছিল ভারত। শেষ ষোলোর ক্ষেত্রে জটিল অঙ্ক ছিল ভারতের। প্রাথমিক কাজ ছিল সিরিয়াকে হারানো। এরপরও ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হত। তবে ৭৬ মিনিটে একমাত্র গোল হজম ভারতের। শেষ অবধি এই স্কোরলাইনই থাকে। গ্রুপে তিন ম্যাচেই হার। টুর্নামেন্টে বিদায় ভারতের। সুনীল ছেত্রী কেরিয়ারের শেষ এএফসি কাপ খেললেন। ৩৯-এর সুনীলের লড়াই দুর্দান্ত। টিম গেম হল না। খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে কাতার থেকে। এএফসি এশিয়ান কাপে ভারত-সিরিয়া ম্যাচের লাইভ স্কোর, অন্যান্য তথ্য জানতে চোখ রাখুন TV9Bangla Sports-এর এই লাইভ ব্লগে।
এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের প্রাপ্তি শুধুই শিক্ষা! কেমন খেলল ভারত? বিস্তারিত পড়ুন: এশিয়ান কাপে যাত্রা শেষ সুনীলের, ৩ ম্যাচেই হার ভারতের
আপুইয়ার পরিবর্তে অনিরুদ্ধ থাপাকে নামালেন ভারতের হেড কোচ ইগর স্টিমাচ। ফলে কোনও পরিবর্তন না হলে এখানেই দৌড় শেষ ভারতের। জয় ছাড়া কোনও বিকল্প নেই।
মাঝমাঠ থেকে গোলের মুভ তৈরি হয়েছিল। দ্রুত গতিতে ভারতের বক্সে ওঠেন ৭ নম্বর জার্সির ওমর খাবিন। এলিয়াসের ছোট পাস। বাঁ দিক থেকে ইব্রাহিমের মাইনাস, ছোট্ট টার্ন এবং ভারতের জালে জমি ঘেসা শট। ৭৬ মিনিটে সিরিয়া এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে অন্তত ২ গোল করতে হবে ভারতকে।
ফুল ফিট না থাকায় প্রথম দু ম্যাচে তাঁকে নামানো যায়নি। প্রতিযোগিতায় প্রথম বার নামলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। মনবীর ও দীপক টাংরির পরিবর্তে সাহাল ও সুরেশকে নামালেন ইগর স্টিমাচ।
সিরিয়ার গোলকিপারের বিরাট ভুল। যদিও সুযোগ নিতে ব্যর্থ ছাংতে। রেফারির সঙ্গে তর্কে হলুদ কার্ড স্টিমাচের।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে চোট পেয়েছিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সন্দেশ মাঠেই ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পড়ে যান। পরিবর্তনের সিগন্যাল দেন। স্ট্রেচার এলেও সাপোর্ট স্টাফের কাঁধে হাত রেখে মাঠ ছাড়েন। পরিবর্ত নিখিল পূজারী।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে পরপর আক্রমণ সিরিয়ার। তবে ভারতের মজবুত ডিফেন্স। নিখিল পূজারী ওয়ার্ম আপ করছেন। সন্দেশ ঝিঙ্গানের চোট। বেকায়দায় পড়েছিলেন। খোড়াতে খোড়াতে মাঠ ছাড়ছেন সন্দেশ। তবে এখনই তাঁকে পরিবর্তন করতে হচ্ছে না। সন্দেশ প্রস্তুত। নেমে পড়েছেন সন্দেশ।
রামাদান বল নিয়ে দৌড়নোর সময় দীপক টাংরি আটকানোর চেষ্টা করেন। সিরিয়ার প্লেয়ার বক্সে পড়ে গেলেও টাংরির ট্যাকলেই পড়েছিলেন নিশ্চিত নয়। ভিএআর-এর দাবি সিরিয়ার। রিভিউতে দেখা যায়, দীপকের ট্যাকলে পড়েননি রামাদান। পেনাল্টি হয়নি। ৩৯ মিনিটে পরপর দুটো জোরালো শট রামাদানের। দু-বারই বল পাঞ্চ করেন গুরপ্রীত। বিপদ হতে পারত।
আল ওয়েসিকে ফাউল করেছিলেন নাওরেম মহেশ। রাগে মহেশকে গুঁতো মারেন আল ওয়েসিকে। তাঁকে হলুদ কার্ড দেখিয়েই ক্ষান্ত হল রেফারি। ভারতের হেড কোচ ইগর স্টিমাচ রিভিউয়ের দাবি তুলেছিলেন।
দুর্দান্ত একটা ক্রস। সিরিয়ার ডিফেন্স বুঝতেই পারেনি সুনীল ছেত্রী রয়েছেন। যদিও বলের ফ্লাইট ঠিকঠাক বুঝতে পারেননি সুনীল। হেডার ঠিকঠাক সংযোগ হলে এগিয়ে যেতে পারত ভারত।
প্রথম দু-ম্যাচে ভারত পাঁচটি গোল খেয়েছে। গোল দেয়নি একটিও। সিরিয়া ১ গোল খেয়েছে প্রথম দু-ম্যাচে। তারাও কোনও গোল করতে পারেনি।
জমি ঘেসা শট, কোনওরকমে বাঁচান গুরপ্রীত। বল গ্রিপ করতে পারেননি। আবারও প্রথম ম্যাচের মতো ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছিল। বল ক্লিয়ার করেন শুভাশিস।
গত দু-ম্যাচে হতাশার পর সিরিয়া বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত শুরু ভারতের। সমানে সমানে টক্কর। রেফারির চোখ এড়িয়ে না গেলে শুরুতেই পেনাল্টি পেতে পারত ভারত। ম্যাচের ৭ মিনিটে কর্নার থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল সিরিয়ার। পাবলো সাবাগের হেডার অনবদ্য সেভ গুরপ্রীত সিং সান্ধুর।
ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটেই মনবীরের পাস, নাওরেম মহেশের কাছে দারুণ সুযোগ ছিল। যদিও প্রতিপক্ষর অনবদ্য ডিফেন্সে আটকে গেলেন মহেশ। পেনাল্টির পরিস্থিতি ছিল! রিপ্লে-তে তাই মনে হল।
ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটেই হলুদ কার্ড ভারতের সাইড ব্যাক রাহুল ভেকের। ভারতীয় ডিফেন্সকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হবে। শুরুতেই কার্ড দেখায় চাপ বাড়ল ভারতের।
শুরু থেকে নেই সাহাল আব্দুল সামাদ। দেখে নিন সিরিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের শুরুর লাইন আপ-
📋 LINE UPS | 🇸🇾 SYRIA 🆚 INDIA 🇮🇳
A victory against the Blue Tigers will propel the Qasioun Eagles closer to the knockout stage than ever before.
Who will seize the must-win moment? 👀
Watch Live 📺 https://t.co/nJZ0pcVqz1#AsianCup2023 | #HayyaAsia | #SYRvIND pic.twitter.com/NwnyXyQ7KX
— #AsianCup2023 (@afcasiancup) January 23, 2024
২০০৭ সাল থেকে বেশ কয়েক বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও সিরিয়া। প্রথম বার নেহরু কাপে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। ৬ বারের সাক্ষাতে ভারত ও সিরিয়া দু-বার করে জিতেছে। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র। ২০১৯ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে শেষ সাক্ষাতে ১-১ ফল হয়েছিল ভারত-সিরিয়া।
ভারত প্রথম দু-ম্যাচে পাঁচ গোল খেয়েছে। সেখানে সিরিয়া মাত্র ১ গোল হজম করেছে। সিরিয়ার রক্ষণ ভাঙা কঠিন চ্যালেঞ্জ ভারতের সামনে। বিস্তারিত ম্যাচ পড়ুন: সম্ভাবনা ক্ষীণ, সিরিয়াকে শেষ কামড় দিতে প্রস্তুত ভারত
সিরিয়ার বিরুদ্ধে ভালো ফল করতে মরিয়া ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। গত দু-ম্যাচের থেকে কী শিখেছেন, জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন। বিস্তারিত পড়ুন: সিরিয়ার ফিজিক্যাল ফুটবলের ‘পরিকল্পনা’ তৈরি, জানালেন ক্যাপ্টেন