কলকাতা: ফুটবলের মক্কায় পা রেখেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর প্রতিভা রয়েছে। গত মরসুমে ডুরান্ড কাপে ৬টা গোল এসেছিল পাহাড়ি স্ট্রাইকারের পা থেকে। করিয়েও ছিলেন একটা। তিনি যে থামার নন, গত মরসুমে বারবার প্রমাণ হয়েছে। সাদা-কালো জার্সিতে সব মিলিয়ে ২১টা গোল করেছেন মিজো ফুটবলার। মহমেডানকে আই লিগ জেতানোর পিছনে ছিল তাঁর অবদান। তারই পুরস্কার পেলেন ডেভিড লাললানসাঙ্গা। মহমেডান থেকে তাঁকে তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল। আপাতত ৩ বছরের চুক্তি করা হল ডেভিডের সঙ্গে। আগামী মরসুমে আইএসএল জেতাই লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের। সেই মতো টিমও গোছাচ্ছেন লাল-হলুদ কর্তারা। ডেভিডকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।
২২ বছরের মিজো স্ট্রাইকার ফুটবল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন আইজল এফসি থেকে। সেখানে তিন বছর খেলার পর গত মরসুমে যোগ দিয়েছিলেন মহমেডানে। দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর অনেক টিমেরই টার্গেট ছিলেন ডেভিড। তিনি শেষ পর্যন্ত বাছলেন ইস্টবেঙ্গলকেই। কুয়াদ্রাত বলেছেন, ‘ওকে আমরা দীর্ঘদিন নজরে রেখেছিলাম। শেষ পর্যন্ত ডেভিডকে পাওয়া গেল। ডুরান্ড কাপ, কলকাতা লিগের টপ স্কোরার ছিল। ওই সময় থেকে আমার নজরে ছিল ও। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই ওকে নিতে চেয়েছিলাম। ওর মতো ফুটবলার টিমের ভোল বদলে দেবে।’
ডেভিড নিজেও ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, ‘ইস্টবেঙ্গল বিরাট ক্লাব। সারা দেশ জুড়ে লক্ষ লক্ষ সমর্থক। ওই সমর্থকদের সামনে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। ভারতীয় টিমের শিবিরে আমি মহেশ, নন্দকুমার, লালচুংনুঙ্গার সঙ্গে কাটিয়েছি। ওরা খুব সাহায্য করে, যাতে আরও ভালো খেলতে পারি, তার জন্য মোটিভেটও করে। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি।’