আত্মতুষ্টি! এই শব্দটাকেই ভয় ছিল মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনার। শুধু এই ম্যাচেই নয়। বরং জয়ের হ্যাটট্রিকের পরই এই আত্মতুষ্টি নিয়ে সতর্ক ছিলেন। যদিও গত ম্যাচে তা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি। গত ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়লেও জিতেই মাঠ ছেড়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু অ্যাওয়ে ম্যাচে সেটা হল না। ছোট্ট ভুলের খেসারত দিতেই হল। এফসি গোয়ার কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচে ১-২ ব্যবধানে হার।
গ্রেগ স্টুয়ার্ট না থাকায় মোহনবাগান মাঝমাঠে একটা অস্বস্তি তৈরি হয়েইছিল। পরপর জেতায় তা খুব একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি। টানা চার ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থান মজবুত করেছিল মোহনবাগান। সুযোগ ছিল পয়েন্ট টেবলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে পার্থক্য বাড়িয়ে নেওয়ার। গোয়ার বিরুদ্ধে অন্তত এক পয়েন্ট এলেও অনেকটাই লাভ হত। এফসি গোয়ার স্থানীয় প্লেয়ার ব্রিসনের জোড়া গোলে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল মোহনবাগানকে।
ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটেই এফসি গোয়াকে এগিয়ে দেন ব্রিসন ফার্নান্ডেজ। বোরহা হেরেরার পাস থেকে বল পান ব্রিসন। মোহনবাগান ডিফেন্সের ভিড় থেকেই গোলে শট। সবুজ মেরুন ডিফেন্ডার টম অ্যালড্রেড তাঁকে শট নিতে অ্যালাউ করাও অবাক বিষয়ই। ডিফ্লেকশন হওয়ায় মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথও দিশা পাননি। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক উদাহরণ রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে সেটা করেওছে মোহনবাগান। ৫৫ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোসের পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। কিন্তু ৬৮ মিনিটে ব্রিসনের ফ্লাইং হেডের গোলটাই পার্থক্য গড়ে দেয়।
বরং ম্যাচ দেখে বলা যায়, মোহনবাগান আরও বড় ব্যবধানে হারলেও অবাক হওয়ার ছিল না। ডিফেন্স এ দিন গুছিয়ে উঠতে পারেনি। প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছে এফসি গোয়া। সঙ্গে ঘরের মাঠের সমর্থন। তবে বিশাল কাইথের হাত বেশ কিছু সেভ করায় ব্যবধান আর বাড়েনি।