ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এই ম্যাচের জন্য অপেক্ষায় থাকেন দেশের ফুটবল প্রেমীরা। শনি সন্ধ্যায় কলকাতা ডার্বি। যদিও এই বড় ম্যাচ কলকাতায় হচ্ছে না। গঙ্গাসাগর মেলার কারণে নিরাপত্তা দিতে সমস্যা রয়েছে, এমনটাই জানিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। সে কারণেই শেষ মুহূর্তে বড় ম্যাচ সরানো হয় অসমের গুয়াহাটিতে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে দু-দলের অসম লড়াই দেখা গিয়েছে। এ বার ‘অসম’ পারফরম্যান্সের অপেক্ষায় দু-দলের সমর্থকরাই।
শুধুমাত্র এ মরসুমের পারফরম্যান্সই নয়, শক্তির দিক থেকে মোহনবাগান বেশ কিছুটা এগিয়ে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পরিসংখ্যানও তাদের পক্ষেই। আইএসএলে এখনও অবধি ৯ বার মুখোমুখি হয়েছে কলকাতার দুই ঐতিহ্যশালী ক্লাব মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। শুরু থেকে এই অবধি একপেশে লড়াই দেখা গিয়েছে। মোহনবাগান জিতেছে আটটি ম্যাচ। বাকি একটি ড্র হয়েছে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দশম-বার মুখোমুখি হতে চলেছে দু-দল। মোহনবাগানের টার্গেট ‘দশ’ কা দম। তেমনই ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য অসম লড়াইয়ের পরিসংখ্যান কিছুটা বদলে দেওয়ার।
ইস্টবেঙ্গল শিবিরে একাধিক চোট আঘাত। মরসুমের মাঝপথে ছিটকে গিয়েছেন মাদিহ তালাল। তাঁর পরিবর্ত নেওয়া হয়েছে সদ্য। গত ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন আনোয়ার আলি। ম্যাচের আগের দিনও প্র্যাক্টিস করতে পারেননি। তাঁকে আদৌ পাওয়া যাবে কি না, যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। না-এর সম্ভাবনাই বেশি। একঝাঁক তরুণকে নিয়েই দল সাজাতে হবে। মোহনবাগানে সেই অর্থে কোনও সমস্যা নেই। শুধু অনিরুদ্ধ থাপাকে পাওয়া যাবে না। বাকি সকলেই ফিট।
তবে সকলেই যেটা বলে থাকেন, ডার্বিতে কোনও দলকেই এগিয়ে-পিছিয়ে রাখা যায় না। পরিসংখ্যান, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, টিমের শক্তি-দুর্বলতা সব কিছুর চেয়েও নির্ভর করছে ম্যাচে স্নায়ুর চাপ সামলানো। যে দল সেটা করতে পারবে, ডার্বি তাদের। আইএসএলে পয়েন্ট টেবলে শীর্ষে থাকা মোহনবাগানই যে কিছুটা হলেও এগিয়ে, এটা বলাই যায়।
মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল, শনিবার, সন্ধ্যা ৭.৩০ থেকে, স্পোর্টস ১৮, স্টার স্পোর্টস ৩ ও জিও সিনেমায় সম্প্রচার