কলকাতা: লিগ শিল্ড হয়নি। দুই নম্বর স্থানও অনিশ্চিত। হায়দরাবাদের থেকে অনেক দূরে এটিকে মোহনবাগান। তবে ইস্টবেঙ্গলের কাছে কেরালা ব্লাস্টার্স হেরে যাওয়ায়, সুবিধা হয়েছে সবুজ-মেরুনের। ১৫ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে এটিকে মোহনবাগান। আজ বেঙ্গালুরু এফসিকে হারালেই তিন নম্বরে উঠে আসবে ফেরান্দোর দল। কলকাতার দুই প্রধানের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর ম্যাচ বরাবরই হাড্ডাহাড্ডি হয়। বিশেষ করে মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু দ্বৈরথের ইতিহাসে অনেক লড়াই লেখা আছে। বেঙ্গালুরুকে হারিয়েই কান্তিরাভায় আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সবুজ-মেরুন। আইএসএলের মঞ্চে লড়াইয়ের জৌলুস যদিও অনেকটা কমে গিয়েছে। লিগ টেবিলের সাত নম্বরে আছে সুনীল ছেত্রীরা। শেষ চারটে ম্যাচেই জিতেছে বেঙ্গালুরু এফসি। রবিবার জিতলেই মোহনবাগানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করবে রয় কৃষ্ণারা। এটিকে মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি প্রিভিউ TV9Bangla-য়।
কার্ড সমস্যায় বেঙ্গালুরু ম্যাচে নেই হুগো বোমাস। ফরাসি মিডিওকে ছাড়াই ঘুঁটি সাজাতে হচ্ছে ফেরান্দোকে। ওড়িশা ম্যাচে লাল কার্ড দেখায় আশিক কুরুনিয়ানকেও পাবেন না বাগানের স্প্যানিশ কোচ। ওড়িশা ম্যাচ জেতায় অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ফেরান্দো। বেঙ্গালুরুর আক্রমণ রোখার ছকও সাজিয়ে রেখেছেন বাগানের স্প্যানিশ হেডস্যার। শেষ চার ম্যাচ বেঙ্গালুরু জেতায় বাড়তি সতর্ক সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট। অ্যাওয়ে ম্যাচে অবশ্য এই বেঙ্গালুরুকেই হারিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান।
সন্দেশ, রয় কৃষ্ণা, প্রবীররা আছেন বেঙ্গালুরু দলে। মোহনবাগানের দুর্বলতা ভালোই জানেন তাঁরা। যদিও মোহনবাগান গোলকিপার বিশাল কাইথের দাবি, ‘ফুটবল এগারো জনের খেলা। শুধুমাত্র ২ জন ফুটবলারের খেলা নয়। তাই এসব নিয়ে আমরা কিছু ভাবছি না। আমরা পুরোদমে প্রস্তুত। আশা করি ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ব।’
সুনীল ছেত্রী ফর্মে না থাকলেও বিপক্ষকে হালকা চোখে দেখতে নারাজ বাগান কোচ। অঙ্ক কষেই সাবধানে পা ফেলতে চাইছেন ফেরান্দো। এখানে পা হড়কালেই বিপদ। প্রথম ছয়ের রাস্তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেলেও, হোম ম্যাচ খেলার অ্যাডভান্টেজকে কাজে লাগাতে চায় এটিকে মোহনবাগান। সেই মতো লিগ টেবিলের উপরেই থাকতে চাইছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।