কলকাতা: বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে জঘন্য রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। সুনীলদের বিরুদ্ধে ১-০ এগিয়ে থেকেও ১-২ গোলে ম্যাচ হারতে হয় লাল-হলুদকে। ভালো পারফর্ম করেও কান্তিরাভা থেকে খালি হাতে ফেরে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। বেঙ্গালুরু এফসির পেনাল্টি পাওয়া নিয়ে রয়েছে বিস্তর বিতর্ক। সুনীল ছেত্রীকে আদৌ বক্সে ফাউল করা হয়েছিল কিনা তা নিয়েও রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। রিপ্লে-তে ধরা পড়েছে মন্দারের পায়ে পা জড়িয়ে পড়ে যান সুনীল। রেফারি ততক্ষণে পেনাল্টি দিয়েছেন। এমনকি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরু এফসির দুই ফুটবলার নিজেদের বক্সে হাতে বল লাগালেও তা রেফারির নজর এড়িয়ে যায়। এ ছাড়াও ম্যাচে রেফারির আরও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সুনীলের পেনাল্টি থেকে গোল এবং ইস্টবেঙ্গলের ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত-এই দুটো পরিস্থিতিই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেয়। ম্যাচ শেষেও ইস্টবেঙ্গল শিবিরে রেফারি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বেঙ্গালুরু ম্যাচের পরই ফেডারেশনের কাছে খারাপ রেফারিংয়ের অভিযোগ জানানোর ভাবনায় ইস্টবেঙ্গল। লাল-হলুদ সমর্থকরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। বৃহত্তর আন্দোলনের কথাও ভাবছেন কেউ কেউ। ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানোর কথাও ভাবছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। গত বছরও বেশ কয়েকটি ম্যাচে খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। অভিযোগ জানিয়েও আখেরে দলের কোনও লাভ হয়নি। কারণ, রেফারি পরে শাস্তি পেলেও, ম্যাচের ফলের কোনও পরিবর্তন হয় না।
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে দেশের ফুটবল উন্নয়নে জোর দেওয়ার কথা বললেও, খারাপ রেফারিং ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যেন ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। আধুনিক ফুটবলে ভার (VAR) অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দেশ এখনও সেই চিন্তাভাবনার পথে হাঁটেনি। রেফারির মান ক্রমশ নীচের দিকে পড়ছে। বিদেশ থেকে রেফারি এনে ওয়ার্কশপ করিয়েও দেশের রেফারিদের মধ্যে যে উন্নতি হচ্ছে না, তা স্পষ্ট।
এ দিকে ২১ তারিখ পর্যন্ত আর কোনও ম্যাচ নেই ইস্টবেঙ্গলের। মাঝে লম্বা বিরতি। সপ্তমীতে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলবে লাল-হলুদ। যুবভারতী থেকে স্থানান্তরিত হয়ে সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ভুবনেশ্বরে। পুজোর দিনে পর্যাপ্ত পুলিশের অভাবে সেই ম্যাচ যুবভারতী থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে। সিনিয়র দলের অনুশীলনেও আপাতত ছুটি। ১৫ তারিখ থেকে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ও বিদেশি ফুটবলারদের। এর মাঝে কলকাতা লিগের ডার্বি রয়েছে। আপাতত রিজার্ভ দল নিয়ে সে দিকেই ফোকাস করছেন বিনো জর্জ।