কলকাতা: আইএসএলের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ তিন বছরে আইএসএলের প্রথম ম্যাচ জেতেনি লাল-হলুদ। এ বারও জয়ের দেখা পায়নি। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচের ফল শেষ হয়েছে গোলশূন্য ভাবে। শনিবার ইস্টবেঙ্গলের সামনে হায়দরাবাদ এফসি। শেষ সাতটি সাক্ষাতে একবারও হায়দরাবাদকে হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এবার লাল-হলুদের কাছে সেই বাধা পেরনোর কঠিন চ্যালেঞ্জ। কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলকে ঘিরে অবশ্য প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তার কারণ, ডুরান্ড কাপে বেশ ভালো পারফর্ম করে ইস্টবেঙ্গল। খেতাব না জিতলেও, রানার্স আপ হয় লাল-হলুদ। গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানকেও হারান নন্দ কুমার, সৌভিক চক্রবর্তীরা। আইএসএল আরও কঠিন লড়াই। কোচ কুয়াদ্রাতও জানেন, তাঁর দলকে ঘিরে প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। এ বারের হায়দরাবাদ দল যদিও কিছুটা শক্তি হারিয়েছে। তার কারণ, গত বারের দল ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে নিজামের শহরের দল। বিদেশিদের পাশাপাশি আকাশ মিশ্রর মতো ভারতীয় ফুটবলার অন্য দলে চলে গিয়েছেন। সিভেরিও টোরো, বোরহাদের নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে ভাবাচ্ছে স্ট্রাইকারদের অফ ফর্ম। সিভেরিও, ক্লেটনরা ফর্মের ধারে কাছে নেই। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন সিভেরিও। ক্লেটন গত বছরের খেলার ধারে কাছে নেই। মাঝমাঠের ফুটবলাররাই চেষ্টা চালাচ্ছেন গোলের মুখ খুলতে। এরই মধ্যে রয়েছে রক্ষণ সমস্যা। জর্ডন এলসে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন আগেই। লালচুংনুঙ্গা এশিয়ান গেমসে খেলতে গিয়েছিলেন। এলসের বদলি হিজাজি মাহের শুক্রবার রাতেই শহরে পৌঁছেছেন। পরের ম্যাচ থেকেই হয়তো দুই ডিফেন্ডারকে পাওয়া যাবে।
হায়দরাবাদ ম্যাচের আগে কোচ কুয়াদ্রাত বলেন, ‘জামশেদপুর ম্যাচে একটা নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হই। তবে আমি অজুহাত দিতে চাই না। নিজেরাও ভুলগুলো শুধরে মাঠ থেকে তিন পয়েন্ট পেতে চাই। একটা জয়ই বদলে দিতে পারে দলের মানসিকতা। এলসে, লালচুংনুঙ্গা না থাকায় আমাদের রক্ষণ সংগঠনের দিকেও জোর দিতে হয়। প্রথম ম্যাচে আমরা গোল হজম করিনি, এটাও পজিটিভ দিক।’