দোহা: সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে এই ছবিটি। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রুপ ই-র জাপান বনাম স্পেন ম্যাচের দৃশ্য। জার্মানির শেষ ষোলোয় পৌঁছবে নাকি বিদায়, নির্ধারণ করে দিয়েছে এই গোল। ম্যাচের ৫১ মিনিটে জাপানের তানাকার এই গোলেই স্পেনকে ২-১ হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউটে প্রবেশ জাপানের (Japan’s Goal Controversy)। ব্লু সামুরাইরা জিততেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের ঘণ্টা বেজে যায় জার্মানির (Germany)। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে জয় কাজে লাগেনি। কারণ হারলেও গোল পার্থক্যে পরের রাউন্ডে চলে গিয়েছে লুই এনরিকের স্পেন। তাই জাপানের বিতর্কিত গোল নিয়ে জার্মানির সমর্থকদের জ্বালা বেশি (Qatar World Cup 2022)। ২০১৪ সালে ব্রাজিলকে সাত গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দেশটি ২০১৮ সালের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল। এ বারও গ্রুপ স্টেজ থেকে বিদায়। টানা দু’বার।
এ বার আসা যাক জাপানের বিতর্কিত গোলটির কথায়। প্রথমার্ধে স্পেনের সিজার আজপিলিকুয়েতার ক্রসে হেডে গোল করেন মোরাতা। ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই খেলার রং বদলে দেয় জাপান। পরিবর্ত হিসেবে নামা রিতসু দোয়ান নামতেই মাঠের খেলা, গ্যালারির মেজাজ পাল্টে যায়। আড়াই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ফেলে জাপানের। প্রথমটি রিতসু দোয়ানের। দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে যত বিতর্ক। মিতোমার মাইনাসে গোল তানাকার। যদিও খালি চোখে মনে হয়েছিল বল মাঠের বাইরে, সেখান থেকে মাইনাস। রেফারি ভিএআরে গোলের সিদ্ধান্ত নেন। ২-১ এগিয়ে যায় জাপান। শেষ পর্যন্ত বজায় ছিল এই স্কোর।
In or out !?? Quite clear to me…?#FIFAWorldCup #JAP #ESP #GroupE #VAR pic.twitter.com/vPqumbY7VY
— Gaizka Mendieta (@GaizkaMendieta6) December 1, 2022
ম্যাচ তখন ১-১ ব্যবধানে সমতায়। ডান প্রান্ত থেকে আসা ক্রস গোলপোস্টের পাশ দিয়ে বাইলাইন পেরিয়ে যাচ্ছিল। জাপানের উইঙ্গার মিতোমা এসে বলটা ক্রস করেন। তানাকা শুধুমাত্র পা ছুঁইয়ে দেন। মাঠের রেফারি গোল বাতিল করে দিয়েছিলেন। মিতোমা ক্রস করার আগেই বল বাইলাইন পেরিয়ে গিয়েছে এমনটা মনে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রেফারি ভিক্টর গোমেজ। যদিও তৎক্ষণাৎ ভিডিয়ো অ্যাসিস্টেন্ট রেফারির পরামর্শ নেওয়ার ডাক পড়ে তাঁর। মাঠের রেফারির সিদ্ধান্ত অবশ্য বহাল থাকেনি। ভিএআর চেক করে গোল দিয়ে দেয়। প্রযুক্তির এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে জার্মান সমর্থকরা গোলটি নিয়ে ব্যপক হইচই শুরু করেছে। এই গোলেই জার্মানির বিদায় নিশ্চিত হয়েছে যে।