গ্রুপ এ-র তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ও হায়দরাবাদ এফসি। দু-দল ভিন্ন ফলের এই ম্যাচে নেমেছিল। মোহনবাগান প্রথম ম্যাচে জিতেছিল। আই লিগের ক্লাব শ্রীনিধি ডেকানকে হারিয়েছিল তারা। তেমনই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্ত অবধি লড়াই করেছিল হায়দরাবাদ। লাল-হলুদের কাছে হারলেও তাদের লড়াই কুর্নিশ জানানোর মতোই ছিল। মোহনবাগানকে যে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে, এমনই মনে করা হচ্ছিল। শুরুতেই নিজেদের ভুলে ব্যাকফুটে মোহনবাগান। শেষ মুহূর্তে নাটকীয় জয় তুলে নিল মোহনবাগান। টানা দু-ম্যাচ জিতে স্বস্তিতেও। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচের মাত্র ৭ মিনিটে ডিফেন্সের ভুলে গোল খায় মোহনবাগান। ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হ্যামিল এবং গোলকিপার আর্শ আনোয়ারের ভুল বোঝাবুঝিতে বল পান লালচুননুনগা ছাংতে। সহজ গোলের সুযোগ মিস করেননি ছাংতে। শুরুতেই গোল খাওয়ায় চাপ বাড়ে মোহনবাগানের। আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিকে বছর শেষ করেছিল সবুজ মেরুন। সেখান থেকে গত ম্যাচে জয়ে ফেরায় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই নিজেদের ভুল অস্বস্তিতে ফেলতে বাধ্য।
মোহনবাগান আক্রমণ ভাগ মরিয়া চেষ্টা করে ম্যাচে ফেরার। প্রথমার্ধে সাফল্য আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সোনালি সুযোগ মিস সুহেল ভাটের। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি মোহনবাগানের দখলেই। যদিও গোলের দেখা মিলছিল না। মোহনবাগানের অনবরত আক্রমণে ভুল করে বসে হায়দরাবাদ ডিফেন্সও। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে আত্মঘাতী গোল জেরেমির।
সমতা ফেরানোর পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে মোহনবাগান। হুগো বোমাসকে বক্সে থামাতে গিয়ে বিপদ বাড়ে হায়দরাবাদের। বোমাসকে অবৈধ ট্যাকল করেন মার্ক জো। পেনাল্টি দেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে মোহনবাগানের পক্ষে স্কোরলাইন ২-১ করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। বাকি সময়ে আর কোনও ভুল করেনি মোহনবাগান। ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে।