প্যারিস: নতুন প্রজন্ম এখনও বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি তাঁর! কিলিয়ান এমবাপে, আর্লিং হালান্ডের মতো তারকারা উঠে এসেছেন। কিন্তু লিওনেল মেসিকে টপকে ‘গোল’ করার দক্ষতা এখনও অর্জন করতে পারেননি। এমবাপে, হালান্ডদের হারিয়ে ফের শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের আসনে আর্জেন্টাইন মহাতারকা। অষ্টম ব্যালন ডি’ওর জিতলেন মেসি (Lionel Messi)। ২ বছর আগে জিতেছিলেন শেষবার। গত বছর ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন করিম বেঞ্জেমা। সাফল্যের মঞ্চ আরও একবার দখলে নিলেন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। সর্বোচ্চ আটটি ব্যালন ডি’ওর জিতে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেলেন এলএম টেন। TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
কাতার বিশ্বকাপে দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, পায়ের জাদুতে মুগ্ধ করে দেওয়া— মেসির এ সব পিছনে ফেলে দিয়েছে হালান্ড, এমবাপেদের। ভোট প্রক্রিয়ায় হালান্ড দু’নম্বরে শেষ করেন। তিন ও চারে এমবাপে এবং কেভিড ডি ব্রুইন। ২০০৯ সালে প্রথমবার ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন মেসি। ১৪ বছর পরও বিশ্ব ফুটবলে একই রকম প্রাসঙ্গিক তিনি। ৩৬ বছর বয়সে জিতলেন অষ্টম খেতাব। সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার হিসেবে এও এক রেকর্ড। বার্সেলোনা, প্যারিস সাঁজা ছেড়ে এখন ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন মেসি। ইউরোপের বাইরের কোনও প্লেয়ার হিসেবে খেতাব জয়ও এক রেকর্ড। তিনটে ক্লাবের হয়ে ব্যালন ডি’অর জেতার বিরল রেকর্ডও করে ফেললেন।
মেসি ব্যালন ডি’অর জেতার পর তাঁর ভক্তরা উৎসবে মেতেছেন। বার্সেলোনার সোনার সময় কাটিয়েছেন এলএম টেন। কিন্তু বার্সা ছেড়া পিএসজিতে যাওয়া সুখের ছিল না। পিএসজির দিনগুলোও তাঁকে যন্ত্রণায় রেখেছিল। সে কথা এক সাক্ষাৎকারে কিছুদিন আগেই তুলে ধরেছেন। ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাব মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন। আমেরিকান ফুটবলে এক নতুন যুগের সূচনা হয়ে গিয়েছে মেসিকে ঘিরে। তাঁকে দেখার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছেন বিভিন্ন জগতের মহাতারকারা। ছত্রিশের মেসি যে আগামী বিশ্বকাপেও অটুট রাখবেন সাম্রাজ্য, তাঁর ভক্তরা নিশ্চিত।