লন্ডন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (Champions League) শেষ ষোলোয় থাকার ম্যাচের প্রথম লেগে লিভারপুলকে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও করিম বেঞ্জেমার জোড়া গোলের দৌলতে ০-২ এ পিছিয়ে থেকেও ৫-২ তে ম্যাচ জিতে নেয়। গত মরসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের মতোই এই ম্যাচেও ডারউইন নুনেজ ও সালাহ লিভারপুলের হয়ে সুন্দর শুরু করেছিলেন। দু’জনেই যথাক্রমে ৪ ও ১৪ মিনিটের মাথায় একটি করে গোল করে দলকে ২-০ এগিয়ে দেন। তখন মনেই হয়নি ফল অন্যরকম হয়ে যেতে পারে। রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid) অবিশ্বাস্য ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। ঘরের মাঠেই লজ্জায় ফেলে দেবে লিভারপুলকে। ম্যাচের বিস্তারিত TV9 Bangla-য়।
ম্যাচের প্রথম অর্ধেই সমতা ফিরিয়ে আনেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ২১ থেকে ৩৬— ১৫ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে ম্যাচের সমতা ফেরান তিনি। এরপর ঠিক বিরতির পরই আরও একটি গোল করে রিয়ালকে ৩-২ এ এগিয়ে দেন এডার মিলিটাও। এ যেন এক টিমওয়ার্ক। রিয়ালের দুরন্ত ফুটবল-ঝড়ই সামলাতে পারল না লিভারপুল। এতেই শেষ নয়, বেঞ্জেমা যাতে টিমকে গোল এনে দিতে পারেন, তার জন্য হয়ে ওঠেন। ১২ মিনিটের মধ্যে স্কোরলাইন পাল্টে দেন বেঞ্জেমা। ৫৫ এবং ৬৭ মিনিটের মাথায় পর পর গোল করে মাদ্রিদকে কার্যত চালকের আসনে বসিয়ে দেন তিনি। ম্যাচ শেষে স্কোরলাইন ৫-২।
এত বড় জয় সম্পর্কে রিয়ালের কোচ আন্সেলোত্তি বলেন, “এই মরসুমে আমরা অনেক ভুগেছি। তারপর এইরকম ম্যাচ খেলা খুবই কঠিন। পুরো টিম এই ম্যাচে ঠান্ডা মাথায় খেলছে। শুরু থেকেই আমরা খুব কার্যকর ফুটবল খেলার চেষ্টা করেছিলাম। যখনই সুযোগ পেয়েছি লিভারপুলের ডিফেন্স ভেঙে গোলের সুযোগ তৈরি করেছি, যার ফল সবার সামনে।” অন্য দিকে, ইপিএলের পয়েন্ট টেবলের ৮ নম্বরে থাকা লিভারপুলের পক্ষে এ বছর ট্রফি জেতার সম্ভবনা খুবই কম। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যাতে টিম ভালো ফল করতে পারে, সে দিকেই তাকিয়ে ছিল লিভারপুল। কিন্তু প্রথম দফার ম্যাচে এ ভাবে হেরে বসার পর রিয়ালের ঘরের মাঠে গিয়ে সালাহর টিম বিরাট ব্যবধানে জিতবে, এমন আশা কেউই করছেন না।
লিভারপুলের কোচ বাস্তব মেনে নিচ্ছেন। যুরগেন ক্লপের কথায়, “মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই আবার আমাদের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলতে হবে। সেই ম্যাচে আমরা নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করব।” আগামী ১৫ই মার্চ এই ম্যাচের দ্বিতীয় লেগের খেলা হতে চলেছে। কিন্তু সেই ম্যাচকে অনেকেই নিছক নিয়মরক্ষার ম্যাচ হিসেবে দেখছেন লিভারপুল ভক্তরা। কারণ, রিয়াল মাদ্রিদ ইতিমধ্যেই প্রথম লেগে জিতে প্রমাণ করে দিয়েছে, তারা কেন ইউরোপের সেরা টিম।