ইউরো কাপের শেষ আটে মুখোমুখি হতে চলেছে ইংল্যান্ড ও সুইৎজারল্যান্ড। শেষ আটে পৌঁছলেও ইংল্যান্ডের খেলা মন ভরায়নি তাদের সমর্থকদের। ইউরোতে যতক্ষণ টিম টিকে থাকছে, ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের মেয়াদও যেন ততক্ষণই। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের জন্য যে কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে, বলার প্রয়োজন পড়ে না। কোনওরকমে এই অবধি পৌঁছলেও নকআউটে প্রতিটা ধাপ পেরোতে হলে পারফরম্যান্সে উন্নতি চাই। কিন্তু সুইসদের জার্মান অস্ত্র কি সেই সুযোগ দেবে? প্রশ্ন এটাই। ইউরোতে সাড়া ফেলেছেন সুইস টিমের কেভিন এমেস। কে তিনি?
গ্রুপ পর্বে জার্মানিকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল সুইৎজারল্যান্ড। শেষ মুহূর্তে আয়োজক দেশ জার্মানির হার বাঁচিয়েছিলেন নিক্লাস ফুলক্রু। শেষ ষোলোয় ইতালির ছুটি করে দিয়েছে সুইৎজারল্যান্ড। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। এ বার কি ইংল্যান্ডের পালা? এই সাফল্যের নেপথ্যে কেভিন এমেস। সুইস টিমের ডেটা অ্যানালিস্ট। তাঁকে বলা হয় ডেটা-ম্যান। প্রতিপক্ষ টিমের শক্তি-দূর্বলতা তাঁর তীক্ষ্ণ নজরে আটকায় না।
কেভিন এমেসের জন্ম জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্টের কাছেই। সুইস টিমের সঙ্গে দীর্ঘ সময় যুক্ত। ধীরে ধীরে সুইৎজারল্যান্ড যুব ও মহিলা দলের দায়িত্বে প্রোমোশন হয়। ২০২১ সালে সুইস সিনিয়র টিমের অ্যানালাইসিস ও ডেভেলোপমেন্টের প্রধান হিসেবে যোগ দেন কেভিন এমেস। এরপর থেকে এখনও অবধি নিজের দায়িত্বে সফল। ইতালিকে বিদায় করার পর এখন ইংল্যান্ড টিম নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে তাঁর।
কাজের প্রতি এতটাই দায়বদ্ধ, এর জন্য জীবনের সঙ্গেও আপোষ করতে প্রস্তুত। মাত্র চার ঘণ্টা ঘুম! আর তাঁর এই কম ঘুমই যেন ইংল্যান্ডের ‘ঘুম’ উড়িতে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সুইস টিমের কোচ তাঁকে খুবই ভরসা করেন। ডাগআউটে কোচের সঙ্গেও থাকেন। সুইস টিমের একটা বড় অংশ হয়ে উঠেছেন কেভিন এমেস।