কলকাতা: এক ঘণ্টাও পেরোয়নি। তাতেই শেষ সমস্ত জার্সি। শুক্রবারই অনলাইনে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) রেট্রো জার্সির বিক্রি শুরু হয়। মুহূর্তেই নিঃশেষিত সমস্ত জার্সি। তারপরও আকাশছোঁয়া উন্মাদনা। সবুজ-মেরুন ভক্তরা এরপর অনলাইনে ঢুকলেও জার্সি আর বুক করতে পারেননি। দেখায় ‘Sold Out’।
মোহনবাগান দিবসে রেট্রো জার্সির উন্মোচন করা হয়। ১৯১১ সালের ২৯ জুলাই আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ব্রিটিশ দল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। ওই জয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। শিবদাস ভাদুড়ি, অভিলাষ ঘোষরা সেই সাফল্য ১০০ বছর পেরিয়ে গেলেও একই আবেদন রেখেছে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মধ্যে।
কত ইতিহাস, কত স্মৃতি জড়িয়ে ওই ম্যাচের সঙ্গে। মোহনবাগানের সেই অমর একাদশ ভারতীয় ফুটবলের এক গর্বের অধ্যায়। যদি শিল্ড ফাইনালের সেই ঐতিহাসিক জার্সি হাতে পাওয়া যায়, তা হলে কেমন হত? আর সেই ব্যবস্থাই এবার করেছে গঙ্গাপারের ক্লাব। গত ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসে সেই ঐতিহাসিক জার্সির উন্মোচন করা হয়। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের সামনে যেন আকাশের চাঁদ নিয়ে আসেন বাগান কর্তারা। তারপর থেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন বাগান সমর্থকরা। মোহনবাগান দিবসে বলা হয়, ২০ আগস্ট গোষ্ঠ পালের জন্মদিন থেকে রেট্রো রেপ্লিকা জার্সি অনলাইনে পাওয়া যাবে। তবে শুক্রবার ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সাধারণের জন্য অনলাইনে বিক্রি শুরু হয়।
#Mariners the much awaited 1911 Retro replica Kit is live at Amazon. Don't miss an opportunity to add this prestigious kit to your collection.https://t.co/TJqVrgPyxP#JoyMohunBagan #Merchandise pic.twitter.com/4ZSXsNDMUD
— Mohun Bagan (@Mohun_Bagan) September 10, 2021
মোহনবাগানের ঐতিহাসিক রেট্রো জার্সির দাম রাখা হয় ৮৫০ টাকা। প্রথম দফায় ৫০০ জার্সি অনলাইনে ছাড়া হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যায়। চাহিদা এতটাই যে, আবারও বানানো হচ্ছে রেট্রো জার্সি। দ্বিতীয় দফায় কবে সেই ঐতিহাসিক জার্সি অনলাইনে পাওয়া যায় সেই অপেক্ষায় বাগান সমর্থকরা। মোহনবাগানের এক কর্তা তো অবাক হয়ে বলছিলেন, ‘১৯১১ সালের ওই শিল্ড জয়ের ঘটনা মোহনবাগানের সবচেয়ে উজ্জ্বলতম ইতিহাস। সেই ভাবনা থেকেই আমরা ওই জার্সি ফিরিয়ে আনার তাগিদ অনুভব করি। তা যে সমর্থকদের ছোঁবে, খুব ভালো করেই জানতাম। তবে এতটা কাড়াকাড়ি হবে, ভাবিনি। যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় লটের জার্সি বাজারে আনা হবে।’
সবুজে-মেরুনে মেশানো ওই জার্সি সংগ্রহে রেখে দেওয়ার মতো। ক্লাবের একনিষ্ঠ ভক্তরা যাতে সুযোগ পেলেই ফিরে দেখতে পারেন সেই ইতিহাস।