কলকাতা: প্রাণ ফিরছে কলকাতা ফুটবলে। শুরু হচ্ছে নতুন মরসুম। ২৫ জুন শুরু কলকাতা লিগ। খেলবে তিন প্রধানও। নতুন মরসুমে নতুন নামে নামছে সবুজ মেরুন। মোহনবাগানের নামের সামনে থেকে এটিকে সরানো নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই আন্দোলন করেছিলেন সমর্থকদের বড় একটা অংশ। এ বার মোহনবাগানের আগে থেকে সরেছে এটিকে। নতুন মরসুমে সবুজ মেরুন খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট নামে। লিগে অবশ্য মোহনবাগানের যুব দল খেলবে। হতেই পারে, লিগে ভালো খেললে সুযোগ মিলতে পারে সিনিয়র দলেও। কলকাতা লিগের প্রস্তুতি লক্ষ্য প্রসঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বললেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
লিগে যুব ফুটবলারদের উন্নতির দারুণ সুযোগ। মোহনবাগানের টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, লিগে বিদেশি ফুটবলারদের খেলানো হবে না। বাস্তব রায়ের কোচিংয়ে লিগে নামছে মোহনবাগান। বলা যেতে পারে, অনূর্ধ্ব ২৩ দল নিয়ে নামাচ্ছে সবুজ মেরুন। ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম বার এমন সিদ্ধান্ত। তবে যুব ফুটবলারদের মধ্যে বেশ কিছু পরিচিত নামও রয়েছে। সুমিত রাঠি, ফারদিন আলি মোল্লা। সঙ্গে রয়েছেন সুহেল আমেদ ভাট, রাজ বাসফোররা। শুভ পালও পরিচিত নাম। তিনি অবশ্য ট্রায়ালে রয়েছেন।
মোহনবাগান যুব দলের ত্রি-মূর্তি সুমিত রাঠি, সুহেল আহমেদ ভাট এবং ফারদিন আলি মোল্লা। কলকাতা লিগ নিয়ে যা বলছেন।
সুমিত রাঠি: সিনিয়র টিমে নিয়মিত নই। খুব বেশি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাইনি। ফলে কলকাতা লিগকে উন্নতির জন্য বেছে নিয়েছি। লক্ষ্য থাকবে অনেক প্রথম একাদশে নিয়মিত জায়গা করে নেওয়া এবং নিজেকে সিনিয়র দলের জন্য উন্নত করা। যুবদের নিয়ে গড়া হলেও আমাদের দল অনেক বেশি শক্তিশালী। যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। হার-জিত খেলার অঙ্গ। আমাদের লক্ষ্য থাকবে প্রতিটা ম্যাচ জেতা। এই টিমে সিনিয়র হিসেবে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করব।
সুহেল আহমেদ ভাট: আমি কাশ্মীরের ছেলে। মোহনবাগানের খেলা দেখেই সবুজ মেরুন জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। নেক্সট জেন কাপে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে গোল করেছি। তাতে আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও বেড়েছে। শুনেছি, কলকাতা লিগে ভালো খেললে এখানে অনেক বেশি নজরে পড়া যায়। সেই সুযোগটা পাচ্ছি। আমার প্রথম লক্ষ্য কলকাতা লিগে খেলে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এবং সিনিয়র দলের কোচ হুয়ান্দোর নজরে পড়া। অনুশীলনে প্রচুর পরিশ্রম করছি। গোল করে দলকে জেতানো ছাড়া কিছু ভাবছি না।
ফারদিন আলি মোল্লা: সিনিয়র টিমে অনেকদিন খেলছি। গত বার এএফসি কাপে গোলও করেছি। তবে সিনিয়র দলে একাদশে নিয়মিত জায়গা করতে পারিনি। লিগে নিজের সেরাটা দিয়ে সেই লক্ষ্যই থাকবে। কলকাতা লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ বার খেলব প্রিমিয়ার ডিভিশনে। চ্যালেঞ্জটা অন্যরকম। কলকাতা লিগ সম্পর্কে আমার ধারনা রয়েছে। ম্যাচ জেতাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিতে হবে।