দোহা: ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে স্পেনের কোচ লুই এনরিকে বলেছিলেন, বিশ্বকাপের আগে দলের ফুটবলারদের ১০০০ পেনাল্টি কিক অনুশীলন করিয়েছেন। বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে নিজেদের অতীত ইতিহাস মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। এনরিকের ছাত্ররা কতটা ‘হোমওয়ার্ক’ সেরেছিলেন তা জানা নেই। কারণ ম্যাচে যখন সেই পরিস্থিতি এল তাতে পুরোপুরি ব্যর্থ স্পেন। পেনাল্টি শুটে একটিও গোল করতে পারল না লুই এনরিকের ছাত্ররা। গোটা ম্যাচেই মরক্কোর জালে একবারও বল জড়াতে পারেনি। আফ্রিকার দেশটির কাছে হেরে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। স্প্যানিশদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শেষ আটে মরক্কো। তিনটে পেনাল্টি শট আটকে ম্যাচের নায়ক মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো।
নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে এক হাজারের বেশি পাস স্পেনের। কিন্তু আসল কাজটিই তো হল না। নিশ্চিত গোলের ভুরিভুরি সুযোগ হাতছাড়া করেছে দুই দলই। প্রথমার্ধে দুই দলেরই একঘেয়ে ফুটবল উপহার। বিরতির পর মোরাতা, উইলিয়ামসনরা মাঠে নামায় স্পেনের খেলায় গতি আসে। কিন্তু মরক্কোর দুর্ভেদ্য রক্ষণের কাছে আটকে যায় সব প্রচেষ্টা। নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে আক্রমণে ঝড় তুললেও গোল ছিল অধরা। অতিরিক্ত সময়েও আসেনি গোল। তিকিতাকার দেশের অতীত ইতিহাস দেখে হিসেব কষে খেলা টাইব্রেকারে নিয়ে যায় মরক্কো। পরিকল্পনায় একশো শতাংশ সফল আফ্রিকান দলটি। টাইব্রেকারে স্নায়ুর চাপ সামলাতে পারলেন না বুস্কেটসরা।
মরক্কোর শাবিবির টাইব্রেকারের প্রথম শট স্পেনের জাল জড়ান। এরপর স্পেনের পাবলো সারাভিয়ার শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ১-০ এগিয়ে ছিল মরক্কো। হাকিম জিয়েচের সোজাসুজি শট স্পেনের জালে। স্পেনের কার্লোস সোলেনের পেনাল্টি শট শরীর ছুঁড়ে আটকে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক বোনো। মরক্কো তৃতীয় শট মিস করেন বেনাউ। এরপর সের্গিও বুস্কেটসের শট সেভ বোনোর। নিজের জন্মস্থানের বিরুদ্ধে চতুর্থ শট লক্ষ্যভেদ করে দলকে জিতিয়ে ইতিহাস গড়েন আশরাফ হাকিমি। হারের গ্লানিতে ডুবে স্পেন। বিশ্বকাপে পাঁচ বার টাইব্রেকারে গিয়ে চার বারই হার তাদের।