কলকাতা: এক ‘জয়’ গেল, আর এক ‘জয়’ এল। আইএফএ (IFA) সচিব পদ থেকে আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। এ বার সেই আসনে বসলেন অনির্বাণ দত্ত। ময়দান যাঁকে জয় নামেই চেনে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইএফএ সচিব পদে নির্বাচিত হলেন অনির্বাণ দত্ত (Anirban Dutta)। বাবা প্রদ্যোৎ দত্তের ছবিতে মালা পরিয়ে নতুন ইনিংসের সূচনা করলেন। আর নতুন সচিবের গলায় মালা পরিয়ে দিলেন আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। যিনি আবার সম্পর্কে অনির্বাণের দাদা ( তুতো)। নতুন সচিবের দায়িত্ব নিয়েই লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন অনির্বাণ। তিন প্রধানকে সঙ্গে নিয়েই এগোনোর বার্তা নতুন সচিবের। ময়দানে বরাবরই আইএফএ-র উপরে একটা অদৃশ্য চাপ তৈরি করে তিন প্রধান ( বিশেষত ইস্ট-মোহন)। সেই চাপ সামলানোই কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে অনির্বাণের।
দুয়ারে কলকাতা লিগ। এটাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে নতুন আইএফএ সচিবের কাছে। অনির্বাণ বললেন, ‘দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই একটা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। প্রাথমিক কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় সব মাঠের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। মাঠের জঞ্জাল সাফ করার কাজও হয়ে গিয়েছে। ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কলকাতা লিগ লিগ শুরু করতে চাই। এ মাসের শেষেই নীচের ডিভিশনের খেলা শুরু করে দিতে চাই।’ নার্সারি থেকে দ্বিতীয় ডিভিশন এ বার বয়সভিত্তিক। তাই চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি নতুন সচিবের কাছে।
তিন ক্লাবের চাপ সামলানো কতটা কঠিন? অনির্বাণ বলছেন, ‘তিন প্রধানই বাংলা ফুটবলের অহংকার। বাংলা ফুটবলের ধ্বজা তুলে রেখেছে। আশা করি, ঠিক ওদের সহযোগিতা পাব।’
প্রিমিয়ার-এ আর ডুরান্ড কাপ একই সঙ্গে চলবে। ১৬ অগাস্ট ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি দিয়ে ডুরান্ড শুরুর ভাবনা রয়েছে। তার আগে কি কলকাতা লিগের ডার্বি সম্ভব? অনির্বাণের উত্তর, ‘ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পরই ঠিক করতে পারব।’
আগের সচিব প্রায় ৪ কোটি টাকার উপর দেনা রেখে গিয়েছেন। সেটাও মেটাতে চান অনির্বাণ। আরও বেশি ম্যাচ আর আরও বেশি স্পনসর এনে দেওয়াই লক্ষ্য। সোমবার নতুন গভর্নিং বডির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইএফএ-র তিন নতুন সহ সভাপতি হলেন স্বরূপ বিশ্বাস, সৌরভ পাল, বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি। কোষাধ্যক্ষ হলেন দেবাশিস সরকার। আরও চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বহাল রইলেন অজিত বন্দোপাধ্যায়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে এ দিন তিনি আসতে পারেননি। চেয়ারম্যান পদে বহাল রইলেন সুব্রত দত্ত।