স্কোরলাইন সব সময় পারফরম্যান্স বিচার করে না। কিন্তু স্কোরলাইন পয়েন্ট টেবলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ইস্টবেঙ্গল এ মরসুমে ১১টি ম্যাচে খেলেছে। এর মধ্যে জয় মাত্র দুটি। হার তিন ম্যাচে। ৬টি ম্যাচ ড্র। এর মধ্যে বেশ কিছু ম্যাচের ফল ইস্টবেঙ্গলের পক্ষেও যেতে পারতো। তা হলে হয়তো ইস্টবেঙ্গল পয়েন্ট টেবলে নয়ে নয়, আরও ওপরেই থাকতে পারত। ইস্টবেঙ্গল শিবিরের মানসিকতা এখন, ‘যা গ্যাঁছে তা যাক।’ বরং সামনের দিকে এগনোই লক্ষ্য। আর এর জন্য সেরা ম্যাচ যেন আজই। গুয়াহাটিতে অ্যাওয়ে ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। কেন সেরা সুযোগ? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সদ্য কলিঙ্গ সুপার কাপ জিতেছে ইস্টবেঙ্গল। মরসুমে চারটি ডার্বির মধ্যে তিনটি জয়। গত ম্যাচে বিশেষ প্রাপ্তিও হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। আইএসএলের ইতিহাসে প্রথম বার ডার্বিতে কোনও পয়েন্ট পেয়েছে লাল-হলুদ শিবির। এ বারের আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল যে দুটি জয় পেয়েছে তা হল হায়দরাবাদ এফসি এবং ঘরের মাঠে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। তিনটে হার এবং একটি ড্রয়ের পর নর্থ ইস্টকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।
নর্থইস্ট ইউনাইটেড আইএসএলের মঞ্চে এখনও অবধি বড় কোনও সাফল্য পায়নি। এ বার ১৩ ম্যাচে মাত্র দুটি জয়। তবে হার মাত্র ৪ ম্যাচে। ৭টি ড্র। স্প্যানিশ কোচ হুয়ান পেদ্রো বেনালির পারফরম্যান্সে টিম ম্যানেজমেন্ট খুশি। তাঁর সঙ্গে আগামী মরসুম অবধি চুক্তি বাড়ানো হয়েছে। অনেকটাই উন্নতি করেছে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। কলিঙ্গ সুপার কাপে ভালো পারফর্মও করেছে।
ইস্টবেঙ্গল শিবিরে নজর থাকবে লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা ভিক্টর ভাসকেজের দিকে। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, গোল করার জন্যই দুই বিদেশিকে সই করানো হয়েছে। এর মধ্যে ভিক্টর কলকাতায় পৌঁছে প্রস্তুতি সেরেছেন দলের সঙ্গে। ম্যাচ খেলার মতো ফিট কিনা নিশ্চিত নয়। পরিবর্ত হিসেবে কিছুক্ষণের জন্য হলেও দেখা যেতে পারে বার্সেলোনায় লিও মেসির সতীর্থ ভিক্টর ভাসকেজকে।
কার্ড সমস্যায় এই ম্যাচে সৌভিক চক্রবর্তীকে পাবে না ইস্টবেঙ্গল। তাতে অবশ্য চিন্তিত নয় লাল-হলুদ শিবির। বেশ কয়েকজন তরুণ ফুটবলার সীমিত সুযোগে নজর কেড়েছেন। তাঁদের কাছে আরও একটা সুযোগ এই ম্যাচে ভালো পারফর্ম করে কোচের গুডবুকে থাকা।
নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি বনাম ইস্টবেঙ্গল, বিকেল ৫টা, স্পোর্টস ১৮-এ সম্প্রচার, জিও সিনেমায় স্ট্রিমিং।