কলকাতা : ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ইস্টবেঙ্গল বনাম ওডিশা এফসি মানেই বাড়তি উন্মাদনা। অনবদ্য একটা লড়াই দেখা যায়। যদিও পরিসংখ্যান ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে নয়। মুখোমুখি সাক্ষাতে এর আগে চার ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। তার মধ্যে দুটো ম্যাচ ছিল গোলের বন্যা। দুই ম্যাচে গোল হয়েছিল ২১টি! এ দিন যুবভারতীতে ওডিশার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ২-০ এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। গত ম্যাচে বেঙ্গালুরুর ডেরায় তাদের হারিয়ে এসেছে লাল-হলুদ। এ দিনের শুরু দেখেও মনে হয়েছিল টানা দ্বিতীয় জয় আসবে। দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টে গেল ম্যাচের রূপ। সবটাই তুলে ধরল TV9Bangla।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসী ছিল ইস্টবেঙ্গল। এ দিন শুরু থেকেই সেই আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ে। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে প্রথম সাফল্য ২৩ মিনিটেই। অনবদ্য টিম গেম। মাঝ মাঠ থেকে লম্বা পাস, সুহের বল নিয়ে বক্সে ঢোকেন, সেখান থেকে গোল করা তাঁর পক্ষে কঠিন ছিল। স্কোয়ার পাসে বল পৌঁছে দিলেন হাওকিপের দিকে। মরসুমের প্রথম গোলে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন হাওকিপ। ৩৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল ইস্টবেঙ্গলের। এ বারও অ্যাসিস্ট ভিপি সুহের। গোল করে ব্যবধান বাড়ান নাওরেম মহেশ। স্বস্তির মেজাজ নিয়ে বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল শিবির।
দুই অর্ধে পুরোপুরি অচেনা ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে অনবদ্য আক্রমণ। ডিফেন্সেও দুর্দান্ত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কেমন এলোমেলো! ২-০ এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বিরতি থেকে ফিরতেই স্কোরলাইন ২-২! প্রত্যাবর্তনে খুব বেশি সময় নেয়নি ওডিশা এফসি। ৪৭ ও ৪৮ মিনিটে জোড়া গোল পেড্রোর। কিরিয়াকু চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তেই আরও অস্বস্তিতে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। ৬৫ মিনিটে ওডিশা এফসিকে এগিয়ে দেন জেরি। ৭৬ মিনিটে ওডিশার পক্ষে স্কোরলাইন ৪-২ করেন নন্দকুমার শেখর।