সাও পাওলো: বিশ্ব ফুটবল হারিয়েছে সম্রাটকে। গত বছরের শেষে প্রয়াত হয়েছেন ফুটবল সম্রাট পেলে। দীর্ঘ সময় হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। বড় দিনের উৎসব কেটেছে হাসপাতালেই। বড়দিনের আগে থেকে পরিবারও হাসপাতালেই কাটিয়েছে তাঁর সঙ্গে। পেলের মৃত্যু বিশ্ব ফুটবলে নিঃসন্দেহে বিশাল ক্ষতি। তাঁর পরিবারের ক্ষেত্রেও। পেলের কেরিয়ারের নানা কীর্তি, সাফল্যের মাঝে রয়েছে বিতর্কও। তাঁর অনেক সন্তান রয়েছে। সকলেই এক স্ত্রী-য়ের নয়। এক সন্তান স্য়ান্ড্রা রেগিনাকে নিয়ে বিতর্ক ছিল বেশি। পেলের সন্তানের স্বীকৃতি পেতে আইনি লড়াইয়ে নামতে হয়েছিল স্যান্ড্রাকে। সম্পত্তি থেকে অবশ্য বঞ্চিত করেননি। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
ফুটবল কেরিয়ারে নানা সম্মান, স্বীকৃতি, সাফল্য, তিনটি বিশ্বকাপ। সঙ্গে প্রচুর সম্পত্তিও রয়েছে প্রয়াত পেলের। মৃত্যুর আগেই উইল করে রেখেছিলেন। তাতে বিপুল ভাগ রয়েছে স্যান্ড্রারও। যদিও বেঁচে থাকতে কন্য়ার স্বীকৃতি পেতে আইনি লড়াইয়ে নামতে হয়েছিল। পেলে বরাবরই মানতে চাননি স্য়ান্ড্রা তাঁর কন্যা। আসলে স্যান্ড্রা ছিলেন পেলের বাড়িত পরিচারিকার কন্যা। সে কারণেই পেলে তাঁকে স্বীকৃতি দিতে চাননি। শেষ অবধি কোর্টে যান স্যান্ড্রা। ডিএনএ পরীক্ষার পর পেলে কন্যার স্বীকৃতি মেলে স্যান্ড্রার। কোর্ট তাঁকে স্বীকৃতি দিলেও বাবার ভালোবাসা পাননি স্যান্ড্রা। ২০০৬ সালে মৃত্যু হয় তাঁর।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, উইলে স্য়ান্ড্রার নামে ১৩ মিলিয়ন ইউরো রেখেছেন। মৃত্যুর ১৭ বছর পর যেন বাবার কাছ থেকে এটুকু স্বীকৃতি পেলেন স্যান্ড্রা। পেলে যখন মৃত্যু শয্যায়, স্য়ান্ড্রার সন্তানরা দেখা করেছিলেন। পেলের সঙ্গে দেখা করার পর স্য়ান্ড্রার সন্তান সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘এমন একটা মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। অবশেষে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলাম। প্রতিটি পরিবারেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকে। আমাদের ক্ষেত্রেও নতুন নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়েও সঙ্ঘবদ্ধ থাকা বেশি জরুরি।’