PELE: ‘ও রেই’-এর জন্য সাত দিনের শোক ঘোষণা ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের

King Of Football: সিবিএফ প্রধান ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিলেন। পেলের সহস্রতম গোল তাঁর কাছে হয়ে উঠেছিল ছোট গল্পের মতো। হয়েও হল না। তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল আরও তিন দিন।

PELE: 'ও রেই'-এর জন্য সাত দিনের শোক ঘোষণা ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের
পেলেকে শ্রদ্ধার্ঘ ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার। পাশে, সহস্রতম গোলের লাফ। ছবি : ব্রাজিল ফুটবল সংস্থা (সিবিএফ)Image Credit source: CBF
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2022 | 7:15 AM

কলকাতা : ও রেই। এটারনো। শব্দগুলো হয়তো অতি পরিচিত নয়। একে বারে অচেনাও নয়। ও রেই। পেলেকে এই নামেই ডাকা হয়। যার অর্থ কিং অব ফুটবল। আমরা যাঁকে বলি ফুটবল সম্রাট। আর এটারনো, চির-অমর। ঘুরে ফিরে একটা লাইনই আসে, কিংবদন্তির মৃত্যু হয় না। তাঁরা চির-অমর। পেলে প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু যতদিন ‘জোগো বোনিতো’ অর্থাৎ ‘সুন্দর খেলা’ ফুটবল থাকবে, পেলেও বেঁচে থাকবেন প্রত্যেকটা ফুটবলারের স্বপ্নে, বাস্তবে। তিন বারের বিশ্বজয়ী। হাজারো গোল। লক্ষ লক্ষ মুহূর্ত। পেলের জন্য় কোনও বিশেষণই যথেষ্ঠ নয়। গ্রেটেস্ট আইডল অব ওয়ার্ল্ড ফুটবল, প্রয়াত হয়েছেন সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন সাত দিনের শোক পালনের নির্দেশিকা জারি করেছে। ফুটবল সম্রাটের মাঠ ও মাঠের বাইরের লড়াই তুলে ধরল TV9Bangla

ফুটবল সম্রাটের গত এক মাসের মতো সময় কেটেছে হাসপাতালেই। ২০২১ সাল থেকেই কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল ফুটবল সম্রাটের। নিয়মিত ভাবে কেমোথেরাপি নিতে হত। ফিরেও আসতেন। এ বারও প্রথম তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আতঙ্ক ঘিরে ধরে ফুটবলপ্রেমিদের মধ্যে। পরিবারের তরফে আস্বস্ত করা হয়, ঘাবরানোর কিছু নেই। নিয়মিত পরীক্ষার জন্যই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও কিছুদিন পর তাঁকে জীবনদায়ী বিভাগে স্থানান্তরিত করার পরই উৎকণ্ঠা বাড়ে। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১০৮ বছর আগে। আর একশো বছরের বেশি সময়ে তাদের সবচেয়ে দুঃখের খবর, পেলের প্রয়াণ। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি এডালান্ডো রডরিগেজ ঘোষণা করেছেন, আগামী সাত দিন শোক পালন হবে। সিবিএফ প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পেলের প্রয়াণে বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সর্বকালের সেরা অ্যাথলিটকে নানা ভাবে স্মরণ করব আমরা। পেলে অমর, তাঁর সমস্ত স্মৃতি, ইতিহাস সংরক্ষণ করা হবে।’

সিবিএফ প্রধান ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিলেন। বলেন, ‘প্রথম বার যখন তাঁকে খেলতে দেখি, সালটা ১৯৬৭। আমার তখন ১৩ বছর বয়স। সেই ম্যাচে গোল করেছিলেন পেলে। বছর দুয়েক পর সালভাদোরে গিয়েছিলাম পেলের সহস্রতম গোল দেখব বলে। শেষ অবধি সেই ম্যাচে তা হয়নি। কার্যত গোল লাইন সেভ হয়েছিল পেলের চেষ্টা। বাহিয়া ডিফেন্ডারকে আমিও গ্য়ালারিতে বিদ্রুপ করেছিলাম, পেলের সহস্রতম গোল দেখতে না পারার হতাশায়। তিন দিন পরই ভাস্কোর বিরুদ্ধে রিওতে কেরিয়ারের সহস্রতম গোলের মাইলফলকে পৌঁছন ফুটবল সম্রাট।’