ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-২ : প্যারিস সাঁজা-০
(মাহরেজ ১১ ও ৬৩)
(সব মিলিয়ে ৪-১ জিতে ফাইনালে সিটি)
লন্ডন: ম্যাচ শুরু আগেই বোধহয় সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা লেগেছিল প্যারিস সাঁজা (PSG) শিবিরে। চোটের জন্য মাঠে নামতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপে। বিপক্ষের সবচেয়ে ধারাবাহিক এবং ভয়ঙ্কর ফরোয়ার্ড না থাকলে কাজটা যে অনেকটাই সহজ হয়ে যায়, তা প্রমাণ করে দিল সিটি (Manchester City)। প্রথম দফায় ২-১ জিতেছিল পেপ গুয়ার্দিওলার (Pep Guardiola) টিম। ফিরতি ম্যাচে ২-০ জয়। সব মিলিয়ে ৪-১ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সিটি। গুয়ার্দিওলার সিটি-পর্ব ধরলে এই প্রথম তাঁর টিমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যাওয়া। এর আগে কোনও বারই শেষ চারেও পা রাখতে পারেনি সিটি।
? Manchester City = Champions League finalists! ???#UCL pic.twitter.com/phpDDJ2pzs
— UEFA Champions League (@ChampionsLeague) May 4, 2021
মোরিসিও পোচেত্তিনোর টিমের কাছে এ বারের সেমিফাইনাল বিপর্যয়ের কাহিনি হয়ে থাকবে। প্রথম দফার ম্যাচে ইদ্রিসা গুয়েয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন। এই ম্যাচেও লাল কার্ড পিছন ছাড়ল না পিএসজির। এ বার ৬৯ মিনিটে ফের্নান্দিনহোকে বাজে ফাউল করার জন্য অ্যাঞ্জেল দি মারিয়া মাঠ ছাড়তে হল। এর পর আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি নেইমারদের।
দি মারিয়ার ঘটনার অনেক আগেই অবশ্য ফাইনালে ওঠা কার্যত ‘কনফার্ম’ করে ফেলেছিল সিটি। রিয়াদ মাহরেজের জোড়া গোলের সৌজন্যে। সিটিতে থিতু হওয়ার জন্য সময় লেগেছে মাহরেজের। কিন্তু ফরাসিজাত ফুটবলার এখন যেন ফুল ফোটাচ্ছেন। খেলা তৈরি করছেন, গোল করাচ্ছেন, গোল করছেন। এই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মিলিয়ে আটটা ম্যাচ খেললেন। গোল করলেন চারটে। পিএসজির বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের ঘরে-বাইরে রয়েছে তাঁর গোল।
Relive a historic night as we booked our place in the Champions League final! ??
? #ManCity | https://t.co/axa0klD5re
— Manchester City (@ManCity) May 4, 2021
১১ মিনিটে ১-০ সিটির। ছোট বক্সের ডান দিক থেকে চমত্কার গোল মাহরেজের। ওই ধাক্কাটার পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা করেছিলেন নেইমাররা। কিন্তু সিটির আঁটোসাঁটো ডিফেন্সের জন্য তা সম্ভব হয়নি। পুরো ম্যাচেই অবশ্য কর্তৃত্ব ছিল গুয়ার্দিওলার টিমেরই। বিরতির খানিক পরেই ২-০ সিটির। এ বারও সুযোগসন্ধানী গোল মাহরেজের। ৩০ বছরের ফুটবলারের দ্রুত জায়গা বদলানো, ক্ষীপ্রতা, গোলের জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার প্রশংসা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আলজিরিয়ার হয়ে খেললেও ফরাসিজাত তিনি। মাহরেজের ফরাসি ছোঁয়াতেই প্যারিসকে হারাল সিটি।
নেইমাররা ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালালেও সম্ভব হয়নি। কারণ, এমবাপে না থাকায় পুরো চাপটাই পড়েছিল নেইমারের উপর। সিটি অবশ্য ব্রাজিলিয়ান তারকাকে একবারও ফ্রি খেলতে দেয়নি। যখনই বল পেয়েছেন নেইমার, সিটি তাঁকে কড়া মার্কিংয়ে রেখেছিল।
আরও পড়ুন:
মাহরেজের জোড়া গোলে ইতিহাস সিটির
পেপ গুয়ার্দিওলার সিটি ফাইনালে কার বিরুদ্ধে খেলবে, তা ঠিক হবে বুধবার রাতে— রিয়াল মাদ্রিদ-চেলসির ম্যাচে। প্রথম দেখায় দুই টিমের ম্যাচ ১-১। কিন্তু রিয়ালের ঘরের মাঠে গিয়ে জেতার সুবাদে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজে আছে চেলসি। ফাইনালে যেই উঠুক না কেন, গুয়ার্দিওলা এবং সিটি ইতিহাস তৈরির জন্য মুখিয়ে আছে।