দোহা: হাতে আর বেশি সময় নেই। বছর শেষেই শীতের আমেজে সূদূর কাতারে বসছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অর্থাৎ ফুটবল বিশ্বকাপের আসর (Football World Cup) । ইতিমধ্যেই ফুটবল বিশ্বকাপের সাক্ষী থাকতে সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ঘাঁটি গাড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই তালিকায় এ রাজ্যেও প্রচুর মানুষ রয়েছেন। নাই বা খেলল আমাদের দেশ । ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার মতো প্রিয় দলগুলির হয়ে গলা ফাটাতে কাতারের (Qatar) বিমান ধরতে তৈরি হুজুগে বাঙালি। যাঁরা সেই পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁদের জন্য সুখবর। অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য যাবতীয় সুবিধা নিয়ে হাজির তেল সমৃদ্ধ দেশটি।
শুধু বিশ্বকাপের আনন্দই নয়, আরও অনেক কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছে মধ্য প্রাচ্যের দেশ কাতার। বছর শেষে শীতের সময় কাতারে বসছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। ২৮ দিন ধরে সারা বিশ্বকে মাতিয়ে রাখবে গোলাকার চামড়ার বল। ট্যাঁকের পয়সা খরচ করে দেশ বিদেশের অসংখ্য মানুষ ঘাঁটি গাড়বেন কাতারে। তাঁদের কথা ভেবে মরুভূমির উপর বেদুইন স্টাইলে তাঁবুর (Bedouin tents) ব্যবস্থা করেছে সে দেশের সরকার। জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ আয়োজক দলের অ্যাকোমোডেশন হেড ওমর আল জাবের। এই সুযোগে কাতারের মরুভূমিতে থাকার সুযোগ পাবেন বিশ্বকাপ দেখার উদ্দেশে যাওয়া মানুষজন।
কী থাকছে এই বেদুইন তাঁবু-তে ?
ওমর আল জাবেরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দোহার আশেপাশের মরুভূমিতে বেদুইন তাঁবুর ব্যবস্থা করা হবে। তাঁবু বলে নাক কোঁচকালে লোকসান আপনারই। কারণ নামে তাঁবু হলেও প্রতিটি টেন্টে থাকবে হোটেলের সমান সুযোগ সুবিধা। মোট এক হাজারটির মধ্যে ২০০টি তাঁবুতে থাকবে বিলাসবহুল ব্যবস্থা। মরুভূমিতে রাত কাটানোর পাশাপাশি অতিথিরা নির্ভেজাল কাতারি খাবার-দাবারের স্বাদ নিতে পারবেন । পরিচয় করানো হবে সে দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে। যদিও এই সুবিধা পেতে অতিথিদের মোটা অর্থ ব্যয় করতে হবে। এমনিতে কাতার ট্যুরিজমের এস্টিমেট অনুযায়ী, কাতারে ৩০ হাজারের কিছু কম হোটেল রয়েছে। যেগুলির মধ্যে ৮০ শতাংশই ফিফা গেস্টদের জন্য। ফুটবলার, রেফারি, সংবাদমাধ্যম এবং ফিফা অফিশিয়ালরা যেখানে দু’মাসের জন্য ঘাঁটি গাড়বেন।
এমনিতেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি নিয়ে বাকি বিশ্বের মানুষের জানার আগ্রহ রয়েছে। নিজের দেশের সঙ্গে বিশ্ববাসীর পরিচয় ঘটাতে এই ফুটবল বিশ্বকাপ হল তাদের কাছে বড় সুযোগ। দেশেরল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সবার সামনে উপস্থাপন করা যায়। ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশের বিশ্ব মানচিত্রে তৈরি হয় নতুন অবস্থান। এর বাইরে রয়েছে অর্থনীতি চাঙ্গা করার সুযোগ। ইতিহাস বলছে, একটি ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন সেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বিশ্বকাপের সময় ১.২ মিলিয়ন অতিথির আগমনের আশা করছে কাতার। যা দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক।