কিভ: কাতার বিশ্বকাপে এ বার ঢুকে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপ। বিশ্বকাপ থেকে ইরানকে (Iran Football Team) ছেঁটে ফেলার দাবি তুলে দিল ইউক্রেন ফুটবল সংস্থা। ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের মারাত্মক অভিযোগ ওঠার পাশাপাশি ইউক্রেন হামলায় রাশিয়াকে সাহায্য করার অভিযোগও উঠেছে। ২১ নভেম্বর বিশ্বকাপের ইরানের প্রথম ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে তারা। দেশের মেয়েদের ফুটবল খেলার পাশাপাশি মাঠে ঢোকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে এ নিয়ে তীব্র বিরোধিতা শুরু হয় বিশ্ব জুড়ে। তারই মধ্যে আবার ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনি পুলিশে হেফাজতে মারা যাওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। হিজাব না পরার কারণে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল মাহসাকে। তাদের দেশেরই অনেক ক্রীড়াবিদ ইরানকে বিশ্বকাপ (Fifa World Cup 2022) থেকে নির্বাসিত করার দাবি তুলে দিয়েছে। তারই মধ্যে ইউক্রেনের এই দাবি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলল। কেন এমন অবস্থা, তুলে ধরল TV9 Bangla।
ইউক্রেন হামলায় ইরান সরকার রাশিয়াকে প্রচ্ছন্ন করছে, এমনই দাবি তোলা হচ্ছে। এই রাজনৈতিক চাপ যে ইরানকে খানিকটা হলেও কোণঠাসা করে ফেলেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। বিশ্ব জুড়ে রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। ইরানের তাতে জড়িয়ে পড়ায় ওই দেশকে বিশ্বকাপ থেকে সরানোর দাবিও তুলতে শুরু করেছে কোনও কোনও দেশ। ইউক্রেন ফুটবল সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরানে ধারাবাহিক ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। যা ফিফার নিয়মের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের বিরদ্ধে ইরান যে রাশিয়ান আগ্রাসনকে সমর্থন করেছে, তা নিয়েও সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতিতে ইরানকে কাতার বিশ্বকাপ থেকে নির্বাসিত করার দাবি তুলল ইউক্রেন ফুটবল সংস্থা।’
যুদ্ধের আবহে ইউক্রেন যে দাবি তুলছে, তা একেবারেই নস্যাৎ করে দিতে পারবে না ফিফা, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের কেউ কেউ। কিন্তু ইরানকে নির্বাসিত করার মতো ঘটনা ঘটবে কিনা, তাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। ফিফা এ নিয়ে পুরোপুরি চুপ। তবে ফুটবল খেলিয়ে অন্যান্য দেশ এই ব্যাপারটা মানতে পারছে না। ইউক্রেন যদি তাদের সমর্থন পেয়ে যায়, তা হলে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।