ভুবনেশ্বর : ভারতীয় ফুটবলের নতুন লক্ষ্য। ঘুমন্ত দৈত্য জেগে উঠবে কীনা সময়ই বলবে। তবে ভিশন ২০৪৭-এর দুর্দান্ত সূচনা হল ভারতীয় ফুটবল দলের। চার দেশীয় হিরো কন্টিনেন্টাল কাপে অনবদ্য জয়ে শুরু করলেন সুনীল ছেত্রীরা। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মঙ্গোলিয়াকে ২-০ ব্যবধানে হারাল ভারত। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের পরিকল্পনা ভিশন ২০৪৭-এর মূল লক্ষ্যই হল, অনেক বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে। ভারতীয় ফুটবলাররা আন্তর্জাতিক এবং ক্লাব মিলিয়ে যাতে বছরে অন্তত ৫০টা ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়, সে দিকেই নজর সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। আইএসএল শেষ হতেই তিন-দেশীয় টুর্নামেন্ট খেলেছিল ভারত। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এশিয়ান কাপ রয়েছে। এশিয়ান কাপের সেরা প্রস্তুতিই লক্ষ্য সুনীল ছেত্রীদের। তার আগে এই টুর্নামেন্টগুলি থেকে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়াই লক্ষ্য। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports– এর এই প্রতিবেদনে।
ওড়িশায় এর আগে ম্যাচ খেললেও প্রথমবার সিনিয়র পুরুষ দল কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলল। তার শুরুও হল জয় দিয়ে। মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত। গোল করেন সাব্দুল সামাদ। ১২ মিনিটের ব্যবধানে গোল সংখ্যা বাড়ান লালিনজুয়ালা ছাংতে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে লেবানন ৩-১ ব্যবধানে হারায় ভানুয়াতুকে। আপাতত পয়েন্ট টেবলে গোল পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে লেবানন।
২০১৮ সালে হিরো কন্টিনেন্টাল কাপে জিতেছিল ভারত। লক্ষ্য পুনরায় এই টুর্নামেন্ট জয়। শুরুটা ভালো হওয়ায় সেই লক্ষ্য পূরণ হতেই পারে। ম্যাচের ২ মিনিটে অনিরুদ্ধ থাপার পাসে গোল করেন সাহাল আব্দুল সামাদ। অনিরুদ্ধর অনবদ্য পাস, বক্সের মধ্যে কোনও ভুল করেননি সাহাল। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকতে পারতো অনিরুদ্ধ থাপার। তাঁর অনবদ্য কর্নারে হেড করেন সন্দেশ ঝিংগান। গোল লাইন সেভ করে মঙ্গোলিয়ার ডিফেন্স। এই মুভ থেকেই ভারতের দ্বিতীয় গোল। ফিরতি বলে অনবদ্য গোল করেন ছাংতে। ২০১৯ সালের পর ফের জাতীয় দলের হয়ে গোল করেন ছাংতে।