ওড়িশা এফসি ৬ জুলা ৩৩’ পল ৪৯’ ৬৬’ জেরি ৫১’ ৬৭’ মরিসিও ৬৯’
এসসি ইস্টবেঙ্গল ৫ পিলকিংটন ২৪’ রবি (আত্মঘাতী)৩৭’ আমাদি ৬০’ ৯৫’ জেজে ৭৪’
গোয়া: ওড়িশার থেকে রসগোল্লার জিআই ছিনিয়ে নেওয়ার পর বাংলা যতটা আনন্দ পেয়েছিল, শনিবার আইএসএলে ততটাই দুঃখ বাংলার একটা দলকে যেন ফিরিয়ে দিল ওড়িশা এফসি। লাল-হলুদকে লিগের শেষ ম্যাচে ছয় গোলের লজ্জায় ফেলে দিল লিগের তলানিতে থাকা ওড়িশা এফসি (ODISHA FC)। গোটা মরসুম জুড়ে সমর্থকদের হতাশ করেছেন মাগোমারা। শেষ ম্যাচে লজ্জার সব সীমা যেন ছাড়িয়ে গেল রবি ফাউলারের দল। লিগের তলানিতে থাকা হাফ ডজন গোলের মালা পরে লিগ শেষ করল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC EAST BENGAL)। সমর্থকদের মুখ তুলে তাকানোর মতও কোনও জায়গা রাখলেন না ফুটবলাররা। লাল-হলুদের ঐতিহ্য বা সম্মান কোনটাই হয়তো বুঝতেই পারেননি ফুটবলাররা বা বোঝাতেই পারেননি কোচ।
আরও পড়ুন : ড্র করলেই ইতিহাস কৃষ্ণা-উইলিয়ামসদের
খেলার প্রথমার্ধে তিনটি গোল। ২২ মিনিটে পিলকিংটনের গোলে এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু গোলা খাওয়ার অভ্যেস শেষ ম্যাচেও পিছু ছাড়ল না লাল হলুদের। ৩৩ মিনিটে বক্সে জটলার মধ্যে থেকে জুলার গোল সমতায় ফেরায় ওড়িশাকে। কিন্তু আমাদির শট ওড়িশার ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলেও গোলকিপারে রবির গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেই গোল শোধ করে ওড়িশা। টপ বক্স থেকে শটে গোল পলের। তিন মিনিটের মধ্যে ওড়িশার ততীয় গোল জেরির। যদিও এই গোল নিয়ে বিতর্ক আছে। ম্যানুয়েল গোল লাইনের বাইরে থেকে বল তুলে সেন্টার করেন। তা থেকেই গোল জেরির। ৬০ মিনিটে আণাদির গোল। ম্যাচে আবার সমতা ফেরায় লাল-হলুদ। কিন্তু পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকা ম্যাচে আবার এগিয়ে যায় ওড়িশা। ৬৬ মিনিটে দুরপাল্লার শটে গোল পলের। এক মিনিট কাটতে না কাটতেই লজ্জার পঞ্চম গোল হজম করল ফাউলারের দল। জেরির দ্বিতীয় গোল। ২ মিনিটের মধ্যে লাল হলুদের লজ্জার পাতায় ষষ্ঠ গোলের হিসেব লিখলেন মরিসিও। ৭৪ মিনিটে জেজের গোলে ম্যাচ ৬-৪। ইনজুরি টাইমে লাল হলুদের পঞ্চম গোল আমাদির।
লাল-হলুদের লজ্জার পাশাপাশি একটি ম্যাচে সব থেকে বেশি গোলের রেকর্ড হল শনিবার রাতে। এর আগে ২০১৯-২০২০ মরসুমে কেরাল-চেন্নাইন ম্যাচে হয়েছিল ৯টি গোল। ২০১৬ সালে গোয়া-চেন্নাই ম্যাচেও হয়েছিল ৯ গোল। শনিবার বাম্বোলিমে ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে পাওয়া গেল ১১টি গোল।