আল থুমামা : কাগজ কলমে কোন দল এগিয়ে, পিছিয়ে। তার হিসেব রাখার মতো পরিস্থিতি নেই। এ বারের বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) এখনও অবধি রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ দেখা গেল, সেনেগাল বনাম নেদারল্যান্ডস (Netherlands)। কমলা ঝড় ওঠার সম্ভাবনা ছিল। দলে তারকা ফুটবলারের অভাব নেই। মেম্ফিস ডিপে, ফ্র্যাঙ্কি ডি অং, ভার্জিল ভ্যান ডাইক, কোডি গাকপো, মাতিয়াস ডি লিট। বিশেষ করে নজর ছিল গাকপোর দিকে। ক্লাব ফুটবলে নজর কাড়ছেন এই তরুণ ফুটবলার। ডিপেকে অবশ্য প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। উল্টোদিকে মানেহীন সেনেগালও যে দুর্বল নয়, পরতে পরতে প্রমাণের চেষ্টা করল তারা। মানের পরিবর্তে আক্রমণভাগে সুযোগ দেওয়া হয় ক্রেপিন দিয়াতাকে। রুদ্ধশ্বাস একটা ম্যাচ মনে হয়েছিল নিষ্ফলাই থাকবে। শেষ মুহূর্তে নেদারল্য়ান্ডসের নায়ক হয়ে উঠলেন কোডি গাকপো। ব্যবধান বাড়ালেন সুপার সাব ডেভি ক্লাসেন। ২-০ ব্যবধানে জয় নেদারল্যান্ডসের। ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
তৃতীয় বার বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলার সুযোগ পেয়েছে সেনেগাল। এর আগে দু-বারই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছে। ২০০২ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ১-০ ব্যবধানে হারায় তারা। বিশ্বকাপে এরপর আর কোনও ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে পারেনি সেনেগাল। গত বিশ্বকাপে পোল্যান্ডকে হারালেও স্কোরলাইন ছিল ২-১। এ বার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়ের পরিসংখ্যান ধরে রাখতে পারল না। মানে থাকলে হয়তো চিত্রটা অন্যরকম হতেও পারত। সেনেগালের গোল সামলোনোর দায়িত্বে ছিলেন এডুয়ার্ডো মেন্ডি। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। তাঁর সামনে ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার কোলিবালি। নেদারল্যান্ডসের প্রথম গোলমুখী শট ৮৪ মিনিটে। তা থেকেই জয় সূচক গোল। এক বার গোলের মুখ খুলতেই কমলাঝড়। অ্যাডেড টাইমে দ্বিতীয় গোল।
সেনেগাল ০
নেদারল্যান্ডস ২ (গাকপো, ক্লাসেন)
বিশ্বকাপের আগে পুনরায় নেদারল্যান্ডসের দায়িত্ব নিয়েছেন কোচ লুইস ভ্যান গাল। তারপর থেকে রেকর্ড ভালোই কমলা ব্রিগেডের। এ বারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ৫-৩-২ ফর্মেশনে দল নামান নেদারল্যান্ডস কোচ। ভার্জিল ভ্য়ান ডাইক ক্লাব ফুটবলে অতি পরিচিত নাম। অবশেষে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন। দলকে নেতৃত্বও দিলেন। নেদারল্যান্ডস গোলকিপার আন্দ্রিয়েস নোপার্টের আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হল। তাও আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয় ডিপেকে। ফর্মেশনেও বদলায় নেদারল্যান্ডস। দু-দলের গোলরক্ষকই ব্যস্ত থাকলেন। গোলের মুখ খুলতে অপেক্ষা শেষ মুহূর্তের। ৭৩ মিনিটে সেনেগালের হয়ে অনবদ্য একটা গোলের সুযোগ। ইদ্রিসার জোরালো শট আটকে দেন নোপার্ট। নির্ধারিত সময়ের ৬ মিনিট আগে ম্যাচের রং বদলে গেল। ফ্র্যাঙ্কি ডি অংয়ের সেন্টার। এডুয়ার্ডো মেন্ডি বল পাঞ্চ করতে এগিয়ে এসেছিলেন। সঠিক সময়ে জাম্পও করেন। তাঁর মুখের সামনে থেকে হেডে গোল কোডি গাকপোর। অ্যাডেড টাইমে ডিপের পাস থেকে ব্যবধান বাড়ালেন ডেভি ক্লাসেন। সেনেগালের পরিসংখ্যান বদলে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল নেদারল্যান্ডস।