কলকাতা: সলমন খান নাইটের দিনই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছিলেন মহিলা দলের কোচ সুজাতা কর। ইস্তফাপত্র পাঠালেও এখনই টুর্নামেন্ট থেকে সরতে চান না তিনি। দায়িত্ব পূরণ করেই পদ ছাড়বেন। মঙ্গলবার মেয়েদের আই লিগের (IWL) কোয়ার্টার ফাইনালে সেতু এফসির সামনে ইস্টবেঙ্গল। টুর্নামেন্টে দুরন্ত ফুটবল খেলে চলেছেন লাল-হলুদের মেয়েরা। তবে এসবের মাঝেই দলের অন্দরে অশান্তি দেখা দেয়। আচমকাই কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন সুজাতা। এর আগেও ইস্টবেঙ্গলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তবে সেবার কোনও রকমে তাঁকে বুঝিয়ে কোচের পদে রেখে দিয়েছিলেন কর্তারা। টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফের পদত্যাগপত্র পাঠান ক্লাবে। ১২ তারিখ গ্রুপের শেষ ম্যাচ জেতার পরই আমেদাবাদ থেকে ইস্তফা দেন সুজাতা। বিস্তারিত TV9Bangla Sports-এ।
কলকাতা থেকে আমেদাবাদে ক্লাবের প্রতিনিধি হিসেবে যান দীপ্তেন বোস। সেই ক্লাব কর্তার বিরুদ্ধেই কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে পদত্যাগ করেন সুজাতা। তাঁর অভিযোগ ছিল ম্যাচে দলগঠনের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করতেন সেই কর্তা। প্রতিবাদ করতেই সুজাতাকে অকথ্য গালিগালাজ করেন দীপ্তেন বোস। এমনই অভিযোগ ছিল সুজাতার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাবে পদত্যাগপত্র পাঠান ‘অপমানিত’ সুজাতা।
রবিবারই নতুন দায়িত্ব নেন। কলকাতা ময়দানে যা যুগান্তকারী ঘটনা। সাদার্ন সমিতির সহকারি কোচের ভূমিকায় এ বার দেখা যাবে সুজাতাকে। ছেলেদের টিমের দায়িত্বে মহিলা কোচ। মঙ্গলবার সেতু এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুজাতা বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শেষদিন পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল টিমের সঙ্গে থাকতে চাই। মেয়েরাও চাইছে আমি যাতে থাকি। আমার দায়বদ্ধতা আছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মেয়েদের ফেলে চলে যেতে চাই না। আমার সঙ্গে যা হয়েছে, সেই প্রভাব যাতে খেলায় না পড়ে সেটাই দেখছি।’ পদত্যাগের পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফ থেকে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি, দাবি সুজাতার। এ দিকে দীপ্তেন বোস ১২ তারিখের পর আর দলের সঙ্গে নেই।