Football: খেলতে গিয়ে মৃত্যু ১৪ বছরের ফুটবলারের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 21, 2021 | 3:41 PM

খেলতে গিয়ে মাঠে মারা যাওয়ার ঘটনা সারা বিশ্বে কিছু কম নেই। বাংলার ফুটবলেও এমন ঘটনা প্রচুর ঘটেছে। আর তাই এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য সিপিআর কিট রাখা হয় বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে। অক্সিজেন সিলিন্ডারও থাকে। শ্যামবাজার উত্তর প্রান্তিক ক্লাবে সে সব ছিল না। আর সেখানেই ঘটে গেল বিপত্তি।

Football: খেলতে গিয়ে মৃত্যু ১৪ বছরের ফুটবলারের
Football: খেলতে গিয়ে মৃত্যু ১৪ বছরের ফুটবলারের

Follow Us

সত্যজিৎ মণ্ডল

মাঠে খেলতে গিয়ে মারা গেল বছর চোদ্দোর কিশোর সুখদেব সাহা (Sukhdev Saha)। অভিযোগ, শারীরিক ভাবে বেশ কিছু দিনই সে অসুস্থ ছিল। তা সত্ত্বেও মাঠে নামে। ওয়ার্মআপ শুরু করার পরই মুখ থুবড়ে পড়ে যায় মাঠে। ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের কোচ, কর্তারা সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠায় পরিবারকে। সুখদেবের বাবা-মা আসার আগেই তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। সেখানেই চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে ১৪ বছরের ফুটবলারকে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার সকালে।

খেলতে গিয়ে মাঠে মারা যাওয়ার ঘটনা সারা বিশ্বে কিছু কম নেই। বাংলার ফুটবলেও এমন ঘটনা প্রচুর ঘটেছে। আর তাই এমন পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য সিপিআর কিট রাখা হয় বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে। অক্সিজেন সিলিন্ডারও থাকে। শ্যামবাজার (Shyambazar) উত্তর প্রান্তিক ক্লাবে সে সব ছিল না। আর সেখানেই ঘটে গেল বিপত্তি। ক্লাবের সচিব গোপাল বসু অবশ্য বলেছেন, ‘এর আগেও দু’বার মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সুখদেব। তাই গত কাল সকালে যখন ক্যাম্পে আসে, তখন ওর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছিলাম। সুখদেব বলেছিল, ওর শরীর ঠিকই আছে। কিন্তু মাঠে নামার পরই হঠাৎ পড়ে যায়। আমরা ওর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। ছাত্রটির বাবা আসার সঙ্গে সঙ্গে আরজিকর নিয়ে যাই। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে…।’

উল্টোডাঙ্গা মোড়ের বস্তিতে বাড়ি সুখদেবের। স্কটিশ চার্চ স্কুলের ক্লাস সেভেনের ছাত্র। ফুটবলের প্রতি তীব্র ভালোবাসা থাকলেও শারীরিক ভাবে দুর্বল ছিল সে। কোচিং সেন্টারের তরফেই বলা হয়েছে, গত দেড় মাস শারীরিক কারণেই সুখদেব ট্রেনিংয়ে যায়নি। কিশোরের পরিবার ও প্রতিবেশীরা অবশ্য বলেছে, বেশ দুর্বলই ছিল সে। কেউ কেউ আবার বলছে, তার নাকি মৃগিও ছিল। তাই যদি হবে, তা হলে কেন ট্রেনিংয়ে নামতে দেওয়া হল সুখদেবকে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সুখদেবের বাবা গৌতম বসু যেমন বললেন, ‘আমার ছেলে শারীরিক ভাবে দুর্বল ছিল। এর আগেও ও বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কিন্তু ও যে খেলতে খেলতে মাঠে পড়ে গিয়েছে, তা আমাদের অনেক দেরিতে জানানো হয়েছে। মাঠে গিয়ে দেখি, ও পড়ে আছে। ক্যাম্পের তরফে যদি আরও আগে উদ্যোগ নেওয়া হত, তা হলে ওকে বাঁচানো যেত।’

Next Article