কলকাতা : এক ঝলকে দেখলে উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দা বলে মনে হয়। আবার কথাবার্তায় দিল্লির টান। ছেলেবেলার খানিকটা অংশ ও কেরিয়ারের সূচনার দিনগুলি কেটেছে কলকাতায়। গত ১০ বছর ধরে তাঁর ঠিকানা দেশের সিলিকল ভ্যালি বেঙ্গালুরু। বৈচিত্র্যময় এই দেশ। ভৌগলিক পরিবর্তনের সঙ্গে প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনীতি- সবকিছুই আলাদা। ছোট থেকে এই পরিবর্তন দেখে বড় হয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chettri)। উত্তর থেকে দক্ষিণ সবরকম সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় রয়েছে। নিজেকে এর জন্য ভাগ্যবান মনে করেন সুনীল। তবে নিজেকে কোন শহরের মানুষ বলে মনে করেন? কোন শহরের প্রভাব তাঁর মধ্যে সবচেয়ে বেশি? স্কুলজীবনের দিল্লি, কর্মজীবনের বেঙ্গালুরু নাকি পছন্দের কলকাতা। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুনীল। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports–এর এই প্রতিবেদনে।
সুনীলের বাবা কেবি ছেত্রী ছিলেন ভারতীয় সেনার ইঞ্জিনিয়র। মা সুশীলা ছেত্রী ছিলেন ফুটবলার। বাবার বদলির চাকরি ও রক্তে ছিল ফুটবল। সুনীলের জন্ম তেলেঙ্গানার (তৎকালীন অন্ধ্রপ্রদেশ) সেকেন্দ্রাবাদে। এরপর ছেলেবেলার কিছুটা সময় কাটিয়েছেন সিকিমে। সুনীল যখন ক্লাস টু-য়ে পড়েন তখন তাঁর পরিবার চলে আসে কলকাতায়। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত কলকাতার স্কুলে পড়াশোনা। এই শহর থেকেই ফুটবলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠা। সেনা স্কুলে ফুটবল জীবনের হাতেখড়ি। তবে স্কুল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা দিল্লিতে কাটিয়েছেন সুনীল। ক্লাস ৬ থেকে ১২ পর্যন্ত দিল্লিতে পড়াশোনা ও ফুটবল দুটোই পুরোদমে চালিয়ে গিয়েছেন। শুধুমাত্র ফুটবল খেলবেন বলে বাবা-মার সঙ্গে বিদ্রোহ করে সেনা স্কুল থেকে ট্রান্সফার নিয়ে সাধারণ স্কুলে ভর্তি হন।
গত দশবছর ধরে সুনীল ছেত্রীর ঠিকানা বেঙ্গালুরু। সেখানেই বাড়ি রয়েছে তাঁর। নিজেকে কি এখন ব্যাঙ্গালোরিয়ান বলে মনে হয়? সুনীল বলেছেন, “নিজেকে ব্যাখ্যা করা মুশকিল। আমাকে যদি কেউ প্রথম দেখেন সেক্ষেত্রে নর্থইস্টের বাসিন্দা ভাববেন। ১০ বছর আগের আমাকে দেখলে দিল্লির ছেলে বলে মনে হত। হিন্দি, ইংরেজি, পঞ্জাবি বা হয়তো বাংলায় কথা বলি। স্ত্রী বলে আমার মধ্যে সবকিছুর মিশ্রণ আছে। গত দশবছরে বেঙ্গালুরুতে থেকে আমার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বেঙ্গালুরু সম্পর্কে আমাকে অনেক কিছু বলতে শোনা যায়। তবে আমি ভাগ্যবান যে দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে থেকে বড় হয়েছি। “