মাদ্রিদ: ১৪ ডিসেম্বর বোধহয় কোনও দিন ভুলতে পারবেন না। ২৪ বছর আগের সেই দিনটা যদি না আসত, তা হলে হয়তো এই প্রজন্মের কিংবদন্তি ফুটবলারকে চিনতেই না কেউ। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল লিওনেল মেসির। সেই চুক্তির তাৎপর্য ছিল অন্যরকম। তাই এ বার। ওই চুক্তির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেস্তোরাঁর ন্যাপকিন। তাই এ বার নিলামে উঠবে। কিছুদিন আগে কাতার বিশ্বকাপে যে জার্সি পরে খেলেছিলেন মেসি, তা নিলামে উঠেছিল। বিপুল অর্থে বিকিয়েছে ৬টা জার্সি। ন্যাপকিন চুক্তির দাম আরও বেশি হতে পারে, এমনই মনে করছে ফুটবল বিশ্ব। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বার্সেলোনার হয়ে ১৭টা বছর টানা খেলেছেন মেসি। ৭৭৮টা ম্যাচ খেলে ৬৭২ গোল করেছেন আর্জেন্টিনার মহাতারকা। এখনও ক্লাবের সমর্থকরা ভুলতে পারেনি তাঁকে। প্যারিস সাঁজা ঘুরে এখন ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন মেসি। এই মেসির ফুটবল বিশ্বে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০০ সালে। বার্সেলোনার মারিয়া মিনগুয়েলা ট্যালেন্ট স্কাউটের দায়িত্বে ছিলেন। তিনিই খুঁজে বের করেছিলেন প্রতিভাবান মেসিকে। শুধু খুঁজে বের করা নয়, বার্সেলোনায় মেসির উত্থানের পিছনেও রয়েছে তাঁর অনেক অবদান। স্পেনের মন্টজুসের একটি রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজের সময় মেসির সঙ্গে দেখা হয়েছিল বার্সেলোনার টেকনিকাল সচিব কার্লেস রেক্সখের। মেসিকে যুব দলে নেওয়া হবে, কথা দিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রতিশ্রুতিই লিখে দিয়েছিলেন রেস্তোরাঁর ন্যাপকিনে। কার্লেসের পাশাপাশি ওই ন্যাপকিনে সই করেছিলেন ছোট্ট মেসিও।
এই ন্যাপকিন চুক্তি এতদিন রাখা ছিল বার্সেলোনার মিউজিয়ামে। চাইলে তা দেখতেও পারতেন সমর্থকরা। সেখান থেকে হঠাৎই নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের নামী নিলাম সংস্থা বোনহ্যামস নিলামে তুলবে। ১৮-২৭ মার্চ ব্রিটিশ নিলাম হাউসে তা কেনার জন্য হাজিরও হতে পারবেন আগ্রহীরা। মেসির কেরিয়ারে এই ন্যাপকিন চুক্তির মূল অপরিসীম। শুধু তাই নয়, এর আগে এ ভাবে কোনও ফুটবলারের সই হয়নি কোনও ক্লাবে। যে কারণে ওই চুক্তির ঐতিহাসিক মূল অপরিসীম। ২৪ বছরের পুরনো ওই ন্যাপকিনের টুকরো এতদিন সামলে রেখেছিল ক্লাব। এ বার মেসি প্রেমী কারও বাড়িতে জায়গা পাবে ফুটবল বিশ্বের বিস্ময়কর এক চুক্তি।