আল রায়ান : কাতার বিশ্বকাপে আজ বেশ কিছু দলের অগ্নি পরীক্ষার দিন। তার মধ্যে অন্যতম ওয়েলস। গ্রুপ বি-তে নিজেদের শেষ ম্যাচে নামছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস। আল রায়ান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইংল্য়ান্ড-ওয়েলস। বরাবরের মতো ‘ইটস কামিং হোম’ স্লোগান নিয়েই কাতারে পা রেখেছে ইংল্যান্ড ফুটবলার, সমর্থকরা। দেশে অপেক্ষা করছেন লাখো ইংল্যান্ড সমর্থক। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বার সেরা দল রয়েছে ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট গ্যারেথ সাউথগেটের দল। কতটা প্রস্তুত তারা? ওয়েলসের ভবিষ্যৎ কী! বিশ্লেষণ এবং ম্যাচ প্রিভিউ TV9Bangla-য়।
ফেভারিটের মতোই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ইংল্য়ান্ড। গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬-২’র বড় ব্যবধানে হারায় তারা। বুকায়ো সাকা জোড়া গোল করেন। দলে কয়েক জন মাত্র অভিজ্ঞ ফুটলার। সঙ্গে এক ঝাঁক তরুণ ফুটবলার। তারুণ্যের জয়গান দেখা গিয়েছিল প্রথম ম্যাচে। মনে হয়েছিল, পরের ম্যাচেই নকআউট নিশ্চিত করবে তারা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অতি সাধারণ দেখিয়েছে ইংল্যান্ডকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো কাগজে কলমে দুর্বল দলের বিরুদ্ধে গোল শূন্য ড্র। হাতে গোনা কয়েকটি সুযোগ তৈরি! রক্ষণ ভাগে হ্যারি ম্যাগুয়ের অনবদ্য পারফর্ম না করলে হয়তো শূন্য হাতেই মাঠ ছাড়তে হত ইংল্যান্ডকে। তাদের নিয়ে যে প্রত্যাশার বেলুন ফুলেছিল, একটা পারফরম্যান্সেই তা চুপসে গিয়েছে। প্রথম ম্যাচে বড় ব্য়বধানে জেতায় বেশ খানিকটা সুরক্ষিত জায়গায় রয়েছে থ্রি লায়ন্স। এ বার সামনে ওয়েলস।
ড্র করলেই শেষ নকআউট পর্বে জায়গা করে নেবে ইংল্য়ান্ড। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স চাই। ওয়েলসের বিরুদ্ধে সেই লক্ষ্য নিয়েই নামবে ইংল্যান্ড। গ্য়ারেথ সাউথগেটের পরিকল্পনাও সমালোচনার মুখে। জ্য়াক গ্রিলিশ, মার্কাস ব়্যাশফোর্ডদের অনেক পরে নামানো। ক্লাব ফুটবলে ধারাবাহিক ভালো খেলা ফিল ফডেনকে পর্যাপ্ত সুযোগ না দেওয়া। এমন অনেক প্রশ্নের মুখে সাউথগেট। অন্য দিকে, ১৯৫৮’র পর দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করা ওয়েলস খাদের কিনারায়। গ্রুপে প্রথম ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনও রকমে ড্র। ইরানের কাছে হার। শেষ ম্যাচে হার কিংবা ড্র, এখানেই বিশ্বকাপ ইতি ওয়েলসের। বিশাল ব্যবধানে জিতলেও অন্য ম্য়াচের ফল এবং অঙ্কের জন্য অপেক্ষা করতে হবে গ্য়ারেথ বেলের নেতৃত্বাধীন ওয়েলসকে।