FIFA World Cup 2022 : কেন গোলের সেলিব্রেশন করেননি এমবোলো? জেনে নিন কারণটা…

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপঙ্কর ঘোষাল

Nov 25, 2022 | 6:54 PM

Breel Embolo : ম্যাচের ৪৮ মিনিটে জার্দান শাকিরির পাস থেকে সুইসদের হয়ে এই জয়সূচক গোলটি করেন দলের স্ট্রাইকার ব্রেল এমবোলো।

FIFA World Cup 2022 : কেন গোলের সেলিব্রেশন করেননি এমবোলো? জেনে নিন কারণটা...
কেন জয় উদযাপন করলেন না ব্রিল এমবোলো?
Image Credit source: twitter

Follow Us

দোহা: জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে সুইৎজারল্যান্ড। ক্যামেরুনকে (Cameroon) ১-০ গোলে পরাজিত করেছে সুইৎজারল্য়ান্ড (Switzerland)। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে জার্দান শাকিরির পাস থেকে সুইসদের হয়ে এই জয়সূচক গোলটি করেন দলের স্ট্রাইকার ব্রেল এমবোলো (Breel Embolo)। এই সুইস স্ট্রাইকারের জন্মভূমি ক্যামেরুন। এখনও তাঁর পরিবার সেখানে থাকে। অন্যদিকে ফুটবলে তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে সুইৎজারল্যান্ড। জন্মভূমির বিরুদ্ধে গোল, দেশকে সম্মান জানাতেই গোলের সেলিব্রেশনে মাতেননি। পুরো ঘটনা তুলে ধরল TV9 Bangla

ক্লাব ফুটবলে এমনটা অহরহ দেখা যায়। যে ক্লাবের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক, একটা নাড়ির টান তৈরি হয়ে যায়। পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে গোলের পরও অনেক ফুটবলারই তাই সেলিব্রেশন থেকে বিরত থাকেন। বিশ্বকাপে মঞ্চে প্রথম গোল। বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে মাততেই পারতেন এমবোলো। আসলে সুইৎজারল্যান্ডের হয়ে নিজের জন্মভূমির বিরুদ্ধেই খেলতে নেমেছিলেন এমবোলো। তাঁর জন্ম ক্যামেরুনে। অল্প বয়সেই ক্যামেরুন ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে সুইৎজারল্যান্ডে পাড়ি দিতে হয় এমবোলোকে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়েছিল। এমবোলোর বয়স সে সময় ৫ বছর। ছোট্ট এমমোলোকে নিয়ে ফ্রান্সে চলে যান তাঁর মা। সে দেশে গিয়ে এক সুইস নাগরিককে বিয়ে করেন তিনি। এরপর সুইৎজারল্য়ান্ডর বাসেলে চলে যান তাঁরা। তারপর থেকে সুইৎজারল্য়ান্ডর বাসেলেই বেডে ওঠা এমবোলোর। তাঁর ফুটবল কেরিয়ারের শুরুও সেখান থেকেই। ২৫ বছরের এই স্ট্রাইকার সুইৎজারল্যান্ডের নির্ভরযোগ্য সদস্য। ক্লাব ফুটবলে খেলেন ফ্রান্সের লিগ ওয়ান ক্লাব মোনাকোতে।

জন্মভূমি ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয়সূচক গোলটি করেন তিনিই। কিন্তু গোল করেও জন্মভূমির প্রতি সম্মান জানানোর জন্য কোনওরকম উদযাপনে মাতলেন না এমবোলো। মাঠের মধ্যেই হাত তুলে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার ভঙ্গিতে দেখা গেল তাঁকে। জন্মভূমির প্রতি তাঁর সম্মানকে কুর্নিশ জানিয়েছে ফুটবল বিশ্বও। পুরো ম্যাচ জুড়ে প্রায় সমানে-সমানে লড়াই চলে সুইৎজারল্যান্ড এবং ক্যামেরুনের। আক্রমণের দিক থেকে সুইৎজারল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যায় ক্যামেরুন। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের খাতা খুলতে পারেনি ক্যামেরুন। এরিক ম্যাক্সিম শুপো-মোটিংরা অনেক সুযোগ তৈরি করলেও শেষ অবধি গোল অধরাই থাকে। সেই সুযোগেই জয় ছিনিয়ে নেয় সুইসরা। এই ম্যাচে মোট ৫১ শতাংশ বল দখলে রাখে সুইৎজারল্যান্ড। শাকিরি-এমবোলোরা মোট তিনটি গোলমুখী শট নিতে সক্ষম হয়। যার মধ্যে একটিতে আসে কাঙ্খিত গোল। এমবোলোর সেই গোলে যেমন সুইৎজারল্যান্ড জিতেছে, তেমনই ফুটবলও।

Next Article