Lionel Messi calligraphy: দোহায় মেসির ক্যালিগ্রাফির চাহিদা তুঙ্গে, বিশ্বকাপ বদলেছে শিল্পীর জীবন

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Dec 18, 2022 | 4:33 PM

FIFA World Cup: আর্জেন্টিনার ফাইনালে ওঠার পর থেকেই মেসির ক্যালিগ্রাফির অর্ডার আসছে খালেদ আলমেসাওয়ের কাছে। দোহার বিখ্যাত ওয়াকিফ বাজারের বাইরে সউক আর্ট সেন্টারে দেখা মিলছে এই ক্যালিগ্রাফি শিল্পীর।

Lionel Messi calligraphy: দোহায় মেসির ক্যালিগ্রাফির চাহিদা তুঙ্গে, বিশ্বকাপ বদলেছে শিল্পীর জীবন
মেসির ক্যালিগ্রাফি

Follow Us

দোহা: কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা পৌঁছতেই মেসিকে নিয়ে উন্মাদনা বেড়েছে তাঁর ভক্তদের। মেসির ছবি-প্রতিকৃতিও ছড়িয়ে পড়ছে কাতার-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকি বিশ্বকাপ শুরুর সময় থেকেই হোর্ডিং, পোস্টার, দেওয়াল-চিত্র, ক্যালিগ্রাফিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন ফুটবল তারকারা। এই বিশ্বকাপ ঘিরে জীবন আমূল বদলে গিয়েছে কাতারের দুই ক্যালিগ্রাফি শিল্পীর। তাঁর সম্পর্কে তুলে ধরল TV9Bangla।

আর্জেন্টিনার ফাইনালে ওঠার পর থেকেই মেসির ক্যালিগ্রাফির অর্ডার আসছে খালেদ আলমেসাওয়ের কাছে। দোহার বিখ্যাত ওয়াকিফ বাজারের বাইরে সউক আর্ট সেন্টারে দেখা মিলছে এই ক্যালিগ্রাফি শিল্পীর। আর্জেন্টিনা ফাইনালে ওঠার পর থেকেই মিশরের এই শিল্পীর কাছে আসছে মেসির ক্যালিগ্রাফির অনুরোধ। কাতারে থাকা মেসি ভক্ত-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে কাতারে খেলা দেখতে আসা ফুটবলপ্রেমীরা মেসির ক্যালিগ্রাফি আঁকাচ্ছেন খালিদকে দিয়ে। বিদেশিদের মধ্যে যাঁরা প্রথমবার ক্যালিগ্রাফর সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে উন্মাদনা সবথেকে বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি। মেসির ক্যালিগ্রাফি নিয়ে মিশরের এই শিল্পী বলেছেন, “উনি বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ফুটবলার। সবাই আমাকে মেসির ছবি আঁকতে বলছে। কারণ সবাই মেসিকে খুব ভালবাসে।” মেসির ছবি আঁকার ফাঁকেই খালিদ জানিয়েছেন, মেসির প্রতি এই ভালবাসা তিনি খুব উপভোগ করছেন। এমনকি বিদেশিরা মেসির ক্যালিগ্রাফি বেশি কিনছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে মেসির পাশাপাশি আর্জেন্টিনার ফাইনাল ঘিরে মারাদোনার ক্যালিগ্রাফিও করেছেন বলেন তিনি।

বিশ্বকাপ বদলে দিয়েছে কাতারের শিল্পী মাইকেল কনজাস্তার জীবনও। দোহার এই শিল্পী ফ্রিল্যান্স শিল্পী হিসাবে কাজ করতেন। দেওয়াল চিত্র-সহ বিভিন্ন ছবি আঁকা তাঁর নেশা। ভালোবেসেই এই কাজ করেন তিনি। কিন্তু এই কাজ করে উপার্জন সবসময় সমান হয় না। কিন্তু কাতারে বিশ্বকাপের আসর বদলে দিয়েছে মাইকেলের জীবন। কাতার সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে প্রচুর কাজ পেয়েছেন এই শিল্পী। দোহার বিভিন্ন রাস্তায় এঁকেছেন প্রচুর দেওয়াল চিত্র। বিশ্বকাপ যত গড়িয়েছে চাহিদাও তত বেড়েছে। সেই কাজ পেয়েই জীবনে বদল আনতে সমর্থ হয়েছেন ৪৪ বছর বয়সী এই শিল্পী। এ নিয়ে মাইকেল বলেছেন, “কাতারের মন্ত্রক আমার কাজকে স্বীকৃতি দেওয়ায় আমি খুবই খুশি। এখানে বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা রয়েছেন। কিন্তু তার মধ্যেই আমাকে কাজের সুযোগ দেওয়া, আমার কাছে খুব বড় পাওনা।” ১৯৯৮ সাল থেকেই দোহাতে থাকেন ফিলিপিনসের এই শিল্পী। এত দিনের কাজের স্বীকৃতি পেয়ে তাই উচ্ছ্বসিত মাইকেল।

Next Article