কলকাতা: ‘প্রতিটা দলই ঘরের মাঠের সুবিধা পায়, শুধুমাত্র কেকেআর (KKR) ছাড়া।’ কলকাতা নাইট রাইডার্স ক্যাপ্টেন নীতীশ রানার গলায় ঝরে পড়েছিল অভিমান। ১১ বছর পর চিপকে চেন্নাইকে হারানোর পর নীতীশের এই কথাগুলো যেন আগুনে ঘি ঢেলেছিল। কেকেআর কি তাহলে ঘরের মাঠে কোনও সুবিধে পাচ্ছে না? প্রশ্ন উঠছিল স্বাভাবিকভাবেই। কেকেআর ক্যাপ্টেন অবশ্য নির্দিষ্টভাবে সুবিধে, অসুবিধের কথা বলেননি। তাঁর কথা শুনে যতটুকু অনুমান করা গিয়েছে তা হল, ইডেনের পিচ নিয়ে সন্তুষ্ট নন কেকেআর ক্যাপ্টেন (Nitish Rana)। এ বারের আইপিএলে (IPL 2023) ইডেন গার্ডেন্সে মোট ছয়টি ম্যাচ খেলেছে কেকেআর। মাত্র দুটিতে জয় ও চারটিতেই হার। মনের মতো পিচ না পাওয়ায় তাতেই কি ক্ষোভের সুর নীতীশের গলায়? যা শুনে স্পষ্ট ভাষায় জবাব দিলেন ইডেন গার্ডেন্সের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “আইপিএলের কোন ধারায় লেখা আছে যে হোম টিমের পছন্দ অনুযায়ী পিচ তৈরি করতে হবে?” বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
ইতিহাস বলছে, একটা সময় কলকাতা নাইট রাইডার্স স্পিনারদের উপর অত্যধিক নির্ভরশীল ছিল। কারণ ইডেনের পিচ থেকে স্পিনাররা যথেষ্ট সাহায্য পেতেন। ২০১২ ও ২০১৪ সালে আইপিএল ট্রফিজয়ী কেকেআর টিমে স্পিনারদের আধিক্য ছিল। সুনীল নারিন, সাকিব আল হাসান, পীয়ুষ চাওলারা ছিলেন কেকেআরের সাফল্যের চাবিকাঠি। বিপক্ষ দলকে স্পিনের ফাঁদে ফেলে ১৪০-১৬০ রানের মধ্যে আটকে রেখে দিতেন তাঁরা। এরপর কেকেআরের ব্যাটাররা অনায়াসে রান তাড়া করে করে ম্যাচ জিতে নিতেন। ২০২৩ আইপিএলেও তেমনই কিছু আশা করেছিলেন নীতীশ রানারা। যদিও, ইডেন গার্ডেন্সের পিচ এখন আর আগের মতো মন্থর নয়। ক্রিকেটের নন্দন কাননে এখন গতিময় উইকেট। আইপিএল হোক বা ঘরোয়া ক্রিকেট, পিচ থেকে পেসার ও স্পিনাররা উভয়েই সুবিধে পান। এমন স্পোর্টিং পিচ নিয়েও খুশি নন কেকেআর ক্যাপ্টেন। কারণ সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তী, সূয়াশ শর্মাদের নিয়ে গড়া দল স্পিন নির্ভর।
নীতীশের অভিযোগ উড়িয়ে ইডেনের পিচ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “আইপিএলে তো হোম অ্যাডভান্টেজে খেলা হয় না। আর ক্যাপ্টেন চাইলে যা খুশি বলতে পারেন। আইপিএলের কোন ধারায় লেখা আছে যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির চাহিদামতো পিচ তৈরি করতে হবে? অনেক সমস্যা রয়েছে যেগুলো বলা সম্ভব নয়। কেকেআরের জন্য পিচ বদলে ফেলা সহজ নয়।” তিনি আরও বলেন, “আরসিবি, দিল্লি ক্যাপিটালসের মতো বাকি দলগুলোকে দেখুন, ওরা ঘরেরে মাঠের সুবিধা-অসুবিধে নিয়ে কথা বলে না। যা পেয়েছে তাতেই সন্তুষ্ট।”