কলকাতা: আর কি করলে তবে সম্মান মেলে? শুধুই কি ভুল? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে? মনু ভাকেরকে নিয়ে তোলপাড় সারা দেশ। মাস চারেক আগে অলিম্পিকে ইতিহাস তৈরি করেছেন হরিয়ানার মেয়ে। একই অলিম্পিক থেকে জোড়া পদক এর আগে কোনও ভারতীয় মেয়ে পাননি। নর্ম্যান প্রিচার্ডের জোড়া পদকের সাফল্য় শতাব্দী প্রাচীন। স্বাভাবিক ভাবেই মনুই এখন ভারতীয় খেলার মুখ। তরুণী শুটার আগামী দিনে আরও পদকের লক্ষ্য স্থির করেছেন। তিনি চান পরের অলিম্পিকেও যেন পদকের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেন। অল্পের জন্য অলিম্পিকে পদকের হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। সেই তাঁকেই কিনা ভারতীয় খেলার সবচেয়ে বড় পুরস্কার থেকে বঞ্চিত করা হল!
ধ্যানচাঁদ খেলরত্নের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মনু ভাকেরকে, এমনই খবর। ১২ সদস্যের কমিটি, যাঁর মাথায় বিচারপতি ভি রামাসুব্রাক্ষ্মণ রয়েছেন। এই কমিটি খেলরত্নের জন্য় বিবেচনা করেনি মনুর নাম। বিতর্ক বাড়তেই ক্রীড়ামন্ত্রক আবার দাবি করেছে, মনু পুরস্কারের জন্য আবেদন করেননি। কিন্তু মনুর বাবা রামকৃষ্ণ আবার বলেছেন, মেয়ের পক্ষ থেকে তিনি আবেদন করেছিলেন। তারপর আর সাড়া মেলেনি। এতেই বেড়েছে বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, অলিম্পিকে ইতিহাস তৈরির পর কেন তাঁকে খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই মনুই দাবিদার। ভারতীয় হকি টিমের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত সিং, প্যারা-অ্যাথলিট প্রবীণ কুমার রয়েছেন খেলরত্নের তালিকায়।
মনুর বাবা রামকৃষ্ণ কিন্তু বলে দিয়েছেন, ‘যদি পুরস্কারের জন্য ভিক্ষেই করতে হয়, তা হলে অলিম্পিকে জোড়া পদক জেতার কি মূল্য? এক সরকারি কর্তা ঠিক করে ফেলেছেন সব। কমিটির সদস্যরা চুপ করে রয়েছেন। কোনও মতামত পর্যন্ত দিচ্ছেন না। এটা কেন যে হচ্ছে, আমি বুঝতেই পারছি না। এই পথে দেশের অ্যাথলিটকে উৎসাহ দেওয়া হবে? আমরা খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু কমিটির তরফে কিছুই বলা হয়নি। তা হলে অভিভাবকরা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের খেলার জন্য উৎসাহ দেবেন! তাঁরা তো সন্তানদের পদস্থ সরকারি অফিসার হওয়ার জন্যই উৎসাহ দেবেন।’