আশিক ইনসান
বিশ্বকাপে সোনা জয়। স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া তাঁর বাড়িতে। শুটিং (Shooting) বিশ্বকাপে সোনা জিতেছেন বাংলার মেহুলি ঘোষ (Mehuli Ghosh)। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিক্সড ইভেন্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন। শাহু তুষার মানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার চ্যাঙওয়ানে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল মিক্সড টিম বিভাগে সোনা জিতেছেন মেহুলি। হাঙ্গেরির এজটার মেসজারোস এবং ইস্তভান পেন জুটিকে ১৭-১৩ পয়েন্টে হারান মেহুলি এবং তুষার। হুগলির বৈদ্যবাটির বাসিন্দা মেহুলি। ক্যাবিনেটে প্রচুর ট্রফি, শংসাপত্র, স্মারক। নানা প্রতোযোগিতায় জেতা পদক বের করে দেখালেন মেহুলির মা মিতালি ঘোষ। পদক সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়বে সন্দেহ নেই। তবে আসল লক্ষ্য যে অলিম্পিক পদক, জানাতে ভুললেন না মিতালি ঘোষ।
মেহুলি থাকেন হায়দরাবাদে। শুটিং প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ছোটো বয়স থেকেই। হায়দরাবাদে গগন নারাং শুটিং অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণে নেন। সিনিয়র পর্যায়ে এর আগে ২০১৯ সালের সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিলেন মেহুলি। দেশের হয়ে জেতা এটি তাঁর দ্বিতীয় সোনা। মেয়ের সোনা জয়ে মিতালী ঘোষ উচ্ছ্বসিত। বৈদ্যবাটির বাড়িতে বসে তিনি বলেন,’খুবই ভালো লাগছে। কারণ, অনেক দিন পর দেশের হয়ে অংশ নিল। আগের দিনের ম্যাচে ফাইনালে উঠতে পারেনি। সেটার একটা খারাপ লাগা ছিল। তবে সোনার পদক জিতে মন ভরিয়ে দিয়েছে। ফাইনাল দেখেছি। ভীষণ ভালো লেগেছে। গোল্ড মেডেল জিতেছে, এটা ভীষণই আনন্দের আমাদের কাছে।’
এরপরই আসল লক্ষ্যের কথা জানালেন মেহুলির মা। টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় শুটিং দলের কাছে ব্যপক প্রত্যাশা ছিল। পূরণ হয়নি। পরবর্তী অলিম্পিক ২০২৪’এ। ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করতে পারলে প্যারিস অলিম্পিকে সুযোগ পেতে পারেন মেহুলি। তাঁর মা বলছেন, ‘আপাতত অলিম্পিক নিয়েই চিন্তাভাবনা রয়েছে। আগের বার মিস হয়েছে। পরবর্তী অলিম্পিকের জন্য বেশি চিন্তাভাবনা করছে, আরও বেশি ফোকাসড রয়েছে মেহুলি।’