সিঙ্গুর : ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম অংশ যোগাসন। আর তাতেই বাংলার মুখ উজ্জ্বল করছেন বাংলার দুই কন্যা। কিছুদিন আগের কথা। প্রতিবেশি দেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন সিঙ্গুরের নেহা বাগ এবং শ্রেয়সী ঘাটি। বাংলাদেশের ঢাকায় আয়োজিত বঙ্গমৈত্রী আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় দুটি ইভেন্টে সোনা জয় নেহা বাগের। শ্রেয়সী দুটি ইভেন্টে দ্বিতীয় এবং একটিতে তৃতীয় হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী শ্রেয়সীর বাড়িতে গিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান এবং আগামী দিনে আরও ভালো ফল করার উৎসাহ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
নেহা বাগের বাড়ি সিঙ্গুরের বেড়াবেরি এলাকায়। হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নেহ। মাত্র চার বয়স থেকে যোগ প্রশিক্ষণ শুরু তাঁর। সেটাকে পাথেয় করেই এগিয়ে চলেছেন। গৌরাঙ্গ সরকারের কাছ থেকে প্রশীক্ষণ নেন নেহা। গত বছর থাইল্যান্ডে আয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। সেখানেও স্বর্ণ পদক জেতেন নেহা। এ বছর জুলাইতে ফের থাইল্যান্ডে যোগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। নেহা বাগের মা বিজলি বাগ জানালেন,ঐচ্ছিক এবং আর্টিস্টিক বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন নেহা। দুটোতেই প্রথম হয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন রাউন্ডে রানার্স আপ হয়েছেন। নেহা বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
বাংলাদেশে আয়োজিত বঙ্গমৈত্রী আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে শ্রেয়সীও। সিঙ্গুরের গোলাপ মোহিনী মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী শ্রেয়ষী ঘাটি। তার বাড়ি সিঙ্গুরের অপূর্বপুর এলাকায়। শ্রেয়সীর কৃতিত্বে খুশি হয়ে রবিবার তার বাড়িতে গিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শ্রেয়সীর কথায়, ‘বঙ্গমৈত্রী কাপে ট্র্যাডিশনাল ও রিদমিক পেয়ারে সেকেন্ড হয়েছি। আর্টিস্টিক সোলোয় তৃতীয়।’
শ্রেয়সীর বাড়িতে গিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ‘বাংলাদেশে গিয়ে তিনটি ইভেন্টে প্রাইজ পাওয়া সহজ নয়। দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আমাদের দেশের যে ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তার অন্যতম হল যোগাসন। আগামী দিনে গোটা বিশ্বের সামনে সিঙ্গুরের এই বাচ্চা মেয়ে আমাদের এই ঐতিহ্য আরও ভালো ভাবে তুলে ধরবে বলে আমার বিশ্বাস।’
শ্রেয়সীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তার প্রতিবেশিরাও। সকলেই উৎসুক। বিজেপি রাজ্য সভাপতি তাদের বাড়িতে যাওয়ায় উৎসাহ আরও বাড়ল। সুকান্ত মজুমদার আগামী দিনের জন্য শ্রেয়সীকে উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‘সামনের বার প্রথম হতে হবে।’ শ্রেয়সীর বাড়িতে সাজানো বেশ কিছু ট্রফি এবং শংসাপত্র। সেই সংখ্যা ক্রমশ বাড়বে, এমন প্রত্যাশা রাখছে তার পরিবারও।