World Championships: ইতিহাস ভুলে বিশ্ব মিটে সুশীলকে ছুঁতে চান অনশু

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Oct 07, 2021 | 3:35 PM

ভারতের চার মেয়ে এর আগে বিশ্ব মিট থেকে পদক এনেছেন। গীতা ফোগাট, ববিতা ফোগাট, পূজা ধান্দা ও বিনেশ ফোগাট। চারজনই ব্রোঞ্জে থেমেছিলেন। অনশু এঁদেরকে ছাপিয়ে গিয়েছেন এখনই।

World Championships: ইতিহাস ভুলে বিশ্ব মিটে সুশীলকে ছুঁতে চান অনশু
World Championships: ইতিহাস ভুলে বিশ্ব মিটে সুশীলকে ছুঁতে চান অনশু

Follow Us

ওসলো: ইতিহাস খুঁজলে দেখা যাবে, বিশ্ব মিটে একমাত্র সোনা জিতেছেন সুশীল কুমার। সেই সর্বোচ্চ সাফল্য ছুঁয়ে দেখার সুযোগ এ বার অনশু মালিকের (Anshu Malik) সামনে। ১৯ বছরের মেয়ে কুস্তি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের (Wrestling World Championships) ফাইনালে উঠে পড়েছেন। রুপো নিশ্চিত। সোনা কি আসবে? তবে এই প্রথম ভারতের কোনও মেয়ে বিশ্ব মিটের ফাইনালে উঠলেন।

ভারতের চার মেয়ে এর আগে বিশ্ব মিট থেকে পদক এনেছেন। গীতা ফোগাট, ববিতা ফোগাট, পূজা ধান্দা ও বিনেশ ফোগাট। চারজনই ব্রোঞ্জে থেমেছিলেন। অনশু এঁদেরকে ছাপিয়ে গিয়েছেন এখনই। সেমিফাইনালে সোলোমিয়া ভিনিককে উড়িয়ে দিয়েছেন ১১-০। ৫৭ কেজি বিভাগে জুনিয়র ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেননি অনশু।

বাউটের পর অনশু বলেছেন, ‘খুব তৃপ্ত হয়েছি ফাইনালে উঠে। টোকিও গেমসে আমি যেটা করে দেখাতে পারিনি, সেটা বিশ্ব মিটে পারলাম। প্রতিটা বাউটের নামার সময় ঠিক করে নিয়েছিলাম, এটাই আমার শেষ বাউট। তাই নিজেকে ছাপিয়ে যেতে পেরেছি।’

ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে সোনা জয়ের ম্যাচে নামবেন অনশু। ১৯৬৭ সালে বিশম্ভর সিং, ২০১০ সালে সুশীল কুমার, ২০১৩ সালে অমিত দাহিয়া, ২০১৮ সালে বজরং পুনিয়া, ২০১৯ সালে দীপক পুনিয়ারা ফাইনালে উঠেছিলেন। সুশীল ছাড়া আর কেউ সফল হননি। একই সরণিতে গিয়ে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে অনশুরও।

টোকিও গেমসে ব্যর্থতার পর ভেঙে পড়েছিলেন অনশু। সেখান থেকে তাঁর বাবা ধরমবীর মালিক আবার তাঁকে ফোকাসড করেছিলেন। ফিরিয়ে এনেছিলেন ম্যাটে। অনশুর বাবাও ছিলেন কুস্তিগির। তিনি বলছেন, ‘কোনও টুর্নামেন্ট থেকে যখন খালি হাতে ফিরতাম, আমি ভেঙে পড়তাম, কিছুই ভালো লাগত না। অনশুর ক্ষেত্রে আমি সেটা চাইনি। ওকে বলেছিলাম, একটা হার কিন্তু অনেক কিছু শেখায়। ও ধীরে ধীরে অলিম্পিকে রাশিয়ান কুস্তিগিরের কাছে হারটা পিছনে ফেলতে পেরেছিল।’

অনশুও বলেছেন, ‘টোকিও গেমসের পর পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন ছিল আমার কাছে। সে ভাবে ফোকাসই করতে পারছিলাম না। তার উপর চোটও পেয়েছিলাম। কিন্তু একটা সময় সব ভুলে সামনে তাকাতে হয়। সেই চেষ্টাই করেছিলাম। এক মাসের মধ্যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। সে দিকে তাকিয়ে আবার ট্রেনিংয়ে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম নিজেকে। ফাইনালেও আমি নিজেকে উজাড় করে দেব।’

Next Article