হানঝাউ: আনন্দ বেশি জরুরি নাকি আক্ষেপ? প্রশ্নটা অদ্ভূত শোনালেও, খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের মূল্য আমরা সবাই দিতে পারি কি? অনেক সময় কোথায় হারিয়ে যায়। ক্রীড়াবিদদের কাছে প্রতিটা ক্ষণ ভীষণরকম জরুরি। কয়েক মিলি সেকেন্ডের জন্য পদকের রং বদলে যায়। কখনও বা পদক আসে না। সোনার পদক জিতলে যেমন আনন্দ হয়, তেমনই মিস হলে আক্ষেপ। কিন্তু এই আক্ষেপের মাঝেও যেন ইতিবাচক দিক থাকে। নতুন লক্ষ্যে নামা যায়। এশিয়ান গেমসে সোমবার আরও ছ’টি পদক ভারতের ঝুলিতে। উসুতেও পদক নিশ্চিত হয়েছে। সোমবার সোনার খাতাও খুলেছে শুটিংয়ে। উসুর পদক ধরলে, ভারতের ঝুলিতে ইতিমধ্যেই ১২। রোয়িংয়ে বিভিন্ন ইভেন্ট মিলিয়ে পাঁচটি পদক। কিন্তু সোনা যে এল না? একদিকে আক্ষেপ, অন্যদিকে প্রত্যয়। কী বলছেন রোয়িংয়ের কোচ ইসমাইল বেগ? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
রোয়িংয়ে মোট পাঁচটি পদক। এর মধ্যে দুটি রুপো, তিনটি ব্রোঞ্জ। ক্রীড়াবিদদের জীবনে আরও একটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরাও অনেক ক্ষেত্রে স্বীকার করে নেন। রুপো কখনও জেতা যায় না। সোনা মিস হলে রুপো মেলে। ব্রোঞ্জের ক্ষেত্রেও অনেকাংশে তাই। রোয়িংয়ে জাতীয় দলের কোচ ইসমাইল বেগও যেন এই মতে বিশ্বাসী। পাঁচটি পদক জয়ের চেয়েও তাঁর আক্ষেপ, সোনা জিততে না পারার।
রোয়িংয়ে ভারতীয় দলের সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স, ২০১০ সালের পর এখনও অবধি এই হানঝাউ এশিয়ান গেমসেই। আক্ষেপ আঁকড়ে থাকা নয়, বরং নজরে প্যারিস অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন পর্ব। রোয়িং দলের কোচ ইসমাইল বেগ বলেন, ‘প্যারিস অলিম্পিক গেমসের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে ডিসেম্বরেই। আগামী বছর এপ্রিলেই প্রথম যোগ্যতা অর্জন পর্ব।’ আর এশিয়ান গেমস নিয়ে বলছেন, ‘চিনে এই পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট, কিন্তু টিমের সোনা মিস হলে সেটা খুবই কষ্ট দেয়।’
প্যারিস অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে এবং তারপর যদি সোনা জেতে টিম? সব আক্ষেপ বদলে যাবে। সময় তো বদলায়! ইসমাইলও সেই লক্ষ্যেই এগতে চান।