Achinta Sheuli: হেঁশেলে কড়াইশুঁটির কচুরি-আলুর দম, ঢাক-ঢোলে ঘরের ছেলেকে বরণ দেউলপুরবাসীর 

TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী

Aug 09, 2022 | 12:12 AM

Achinta Sheuli returns Home: গ্রামের পরিচিত মানুষরা, রাজ্যের মন্ত্রীরা, একঝাঁক সংবাদমাধ্যমের ভিড়, ক্যামেরার ফ্লাশ, ফুল-মালা, মিষ্টিমুখের আবদার। নাহ্, সত্যিই বদলে গিয়েছে অচিন্ত্যর জীবন।

Achinta Sheuli: হেঁশেলে কড়াইশুঁটির কচুরি-আলুর দম, ঢাক-ঢোলে ঘরের ছেলেকে বরণ দেউলপুরবাসীর 
কলকাতা বিমানবন্দরে অচিন্ত্য
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games) জন্য যেদিন রওনা দিয়েছিলেন সেদিনটার সঙ্গে আজকের আকাশ জমিন ফারাক। একটা সোনার পদক গোটা ছবিটাকেই পাল্টে দিয়েছে। ১১টা দিনের মধ্যে একশো আশি ডিগ্রি বাঁক নিয়েছে হাওড়ার অখ্যাত দেউলপুরের বাসিন্দা অচিন্ত্য শিউলির (Achinta Sheuli) জীবন। দেশে ফিরেছেন দিন দুয়েক আগেই। আজ ফিরলেন কলকাতায়। সোনার ছেলেকে স্বাগত জানাতে উপচে পড়ল বিমানবন্দর। কে নেই সেখানে? রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং একইসঙ্গে প্রায় গোটা দেউলপুর (Deulpur)। অচিন্ত্যর কল্যাণে দেশের মানচিত্রে একসময়ের অখ্যাত দেউলপুর আজ বিখ্যাত। সোনার ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যেতে দেউলপুরবাসী কলকাতা বিমানবন্দরে ভিড় করে। গ্রামের পরিচিত মানুষরা, রাজ্যের মন্ত্রীরা, একঝাঁক সংবাদমাধ্যমের ভিড়, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, ফুল-মালা, মিষ্টিমুখের আবদার। নাহ্, সত্যিই বদলে গিয়েছে অচিন্ত্যর জীবন।

কমনওয়েলথ গেমসে ভারোত্তোলনে ৩১৩ কেজি ওজন তুলে সোনা জয়ী অচিন্ত্যর উপর দেশবাসীর প্রত্যাশার ভার বেড়েছে বইকি। তবে আপাতত কয়েকটা দিন তাঁর এসব না ভাবলেও চলবে। এতদিনে পরিশ্রম সফল হয়েছে। এখন মুহূর্তটাকে উপভোগ করার সময়। ছেলে সোমবার বাড়ি ফিরছে, সে খবর আগেই ছিল দেউলপুরবাসীর কাছে। তাই সময়ের আগেই জাতীয় পতাকা, ঢাক ঢোল নিয়ে কলকাতার বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিল দেউলপুরবাসী। যুবক আর কচিকাঁচাদের ভিড়টাই বেশি। ছিলেন অচিন্ত্যর দাদা অলোক, কোচ অষ্টম দাস। বিমানবন্দরে গেট থেকে অচিন্ত্য বেরোতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। ঢোল বাজিয়ে চলে আনন্দোৎসব।

বিমানবন্দরে অচিন্ত্য

সোনা জিতেই মাকে বলেছিলেন, প্রিয় নারকেল মাখা ভাত খাবেন। মা পূর্ণিমা শিউলির আজ দম ফেলার ফুরসত নেই। ছেলের আবদার তো রাখতেই হবে। তারই সঙ্গে শিউলি পরিবারের হেঁশেলে আজ চেপেছে কড়াইশুঁটির কচুরি আর আলুর দম, চানা মশালা। ছেলে ফিরলেই গরমাগরম ভেজে দেবেন কচুরি। সঙ্গে দই-মিষ্টি। এগুলেও যে বড্ড প্রিয় তাঁর।

কলকাতায় পা রেখেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানিয়ে দিয়েছেন অচিন্ত্য। আপাতত তাঁর পাখির চোখ পরবর্তী এশিয়ান গেমস। এশিয়াডে ভাল পারফরম্যান্সের পর লক্ষ্য থাকবে অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন। কমনওয়েলথে সোনাজয়ীর শয়নে স্বপনে এখন অলিম্পিক। চব্বিশের প্যারিস অলিম্পিককেই পাখির চোখ করে এগোবেন। পরিবার, পরিজনদের আদরে-আবদারে ভেসে যাওয়ার আগে জানিয়ে দিয়ে গেলেন সোনার ছেলে।

Next Article