সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি গত কয়েক দিন থেকে আলোচনায়। শীর্ণকায় এক মহিলা, মুখে স্মিত হাসি, অপেক্ষায়। রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দর মায়ের সেই ছবি মন ভোলানোর মতোই। মাত্র ১৮ বছর বয়সে দাবার বিশ্ব দাবায় নাম উজ্জ্বল করছেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। বিশ্বনাথন আনন্দের পর ভারতের দ্বিতীয় দাবাডু হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন। শুধু তাই নয়, সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ড। এর আগে নানা টুর্নামেন্ট মিলিয়ে বিশ্বের এক নম্বর ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়েছেন প্রজ্ঞানন্দ। বিশ্বকাপ ফাইনালেও প্রথম দুটি ক্লাসিকাল গেম ড্র হয়। শেষ অবধি টাইব্রেকারে অল্পের জন্য রানার্স। কিছু দিন আগেই ১৮তম জন্মদিন পালন করা প্রজ্ঞানন্দকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো দেশ। মা গর্বিত হবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। ছেলের সাফল্যে কী বলছেন নাগলক্ষী? বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ হয়তো বলতেই পারেন, ‘মেরে পাস মা হ্যায়’। প্রজ্ঞার সাফল্যের নেপথ্যে মায়ের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। FIDE বিশ্বকাপে রানার্স প্রজ্ঞানন্দ খেলবেন ক্যান্ডিডেটস ক্লাবে। তাঁর মা নাগলক্ষী বলছেন, এখনও অনেকটা পথ চলা বাকি। বেশির ভাগ টুর্নামেন্টেই ছেলের সঙ্গে থাকেন নাগলক্ষী। তাঁর কথায়, ‘টুর্নামেন্টে ও এতটা পথ এসেছে, এর জন্য গর্বিত। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ও ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।’ আজারবাইজানের বাকুতে হয়েছে বিশ্বকাপ। বাকু থেকে এ বার জার্মানির পথে প্রজ্ঞানন্দ। দেশে ফিরবেন ৩০ অগস্ট।
প্রজ্ঞানন্দর মা নাগলক্ষী আরও বলছেন, ‘বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অর্জুন এরিগাইসির বিরুদ্ধে ম্যাচের সময় অনেক বেশি ভাবনায় ডুবে গিয়েছিলাম। ছেলের সামনে কী অপেক্ষা করছে, বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরে দেখলাম, সেই ছবিটাই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কেউ যে আমার ছবি তুলছিল, সেটাই বুঝতে পারিনি।’ অর্জুনের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্ত জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিলেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। ফাইনালের পর তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন ফোন করেছিলেন, এমনটাও জানান নাগলক্ষী। বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি যে ম্যাচটা ফলো করছিলেন, এটা জেনে খুবই ভালো লেগেছে।’